ইন্দিরা গান্ধী: এক অবিস্মরণীয় দেশ নেত্রী

ইন্দিরা গান্ধী: এক অবিস্মরণীয় দেশ নেত্রী
ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম
১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের ৩ তারিখ।
রাত তখন বারোটা।
না, বারোটা নয়। বারোটা কুড়ি৷
আকাশবাণী দিল্লী থেকে প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর কণ্ঠস্বর ভেসে এল, ‘আমাদের দেশ, আমাদের জাতির এক সংকট মুহূর্তে আমি আপনাদের উদ্দেশ্যে বলছি।'
ধীর, স্থির কণ্ঠস্বর। অবিচলিত। বিশ্বাসে অটুট। ৰৱাভয়ে দুর্নিবার। স্থিতপ্রজ্ঞ।
‘ঘণ্টাকয়েক আগে ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার কিছু পর পাকিস্তান আমাদের বিরুদ্ধে পুরোমাত্রায় যুদ্ধ শুরু করেছে । পাকিস্তানের বিমানবাহিনী অকস্মাৎ আমাদের অমৃতসর, পাঠানকোট, শ্রীনগর, অবস্তীপুর, উত্তরলাই, যোধপুর, আম্বালা ও আগ্রা বিমান ঘাঁটিতে হানা দিয়েছে। পাক স্থলবাহিনী আমাদের আত্মরক্ষাঘাটি সুলেমানকী, খেমকরণ, পুষ্প ও অপরাপর এলাকায় গোলা-গুলী বর্ষণ করে চলেছে।'...
রাত্রির নিথরতা খান খান করে জাতির কর্ণধার শ্রীমতী গান্ধীর কণ্ঠ আবার ভেসে এল। প্রতিধ্বনিত হলো বেতার যন্ত্রে: ‘আজ বাংলাদেশের যুদ্ধ ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার সরকারের এবং ভারতীয় জনগণের উপর চাপিয়ে দিয়েছে এক বিরাট দায়িত্ব ।...
“আমাদের জনগণ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইচ্ছাপ্রণোদিত, অকারণ এ আক্রমণ চূড়ান্তভাবে প্রতিরোধ করতে যে সক্ষম হবেন তাতে আমার কোনো সন্দেহ নেই।'
ইন্দিরা গান্ধীর সেই ধীর, স্থির কণ্ঠস্বর রাত্রির নিস্তব্ধতা নিথরতা খান খান করে ভেঙ্গে দেয়। ভারতীয় জাতির কর্ণধার শ্রীমতী গান্ধীর কণ্ঠ আবার ভেসে এল। প্রতিধ্বনিত হলো বেতার যন্ত্রে। সংকট মুহূর্তে দেশবাসীর উপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে বললেন।
১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর ভারত পার্লামেন্টে তাঁর দেয়া ভাষণে গোটা ভারতবাসীকে তিনি ঐক্যবদ্ধ করলেন । পার্লামেন্ট সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে পাকিস্তানের আক্রমণের মোকাবিলায় দৃঢ় সংকল্পের কথা জানালেন। কংগ্রেস, সিপিএম, সিপিআই, ডিএমকে, মুসলিম লীগ, জনসংঘ, স্বতন্ত্র সদস্য সকলেরই একই চাওয়াকে তিনি এক রেখায় দাঁড় করালেন। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত স্বীকৃতি দিল এক নতুন জাতির, এক নতুন দেশের। বিশ্বের বুকে জন্ম হলো আর একটি রাষ্ট্রের। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের।
ইন্দিরা গান্ধী জানতেন তাঁর এই চাওয়াকে বিশ্বের ক্ষমতাশালী পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলো সহজে মেনে নিবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন এদের সরাসরি বিরোধিতাকে উপেক্ষা করে তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে মৈত্রী স্থাপন করেন। উদ্দেশ্য একটাই, আর সেটা হলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। ফলে ১৯৭১ সালে ব্রেজনেভ-ইন্দিরার বৈঠকের প্রেক্ষাপট ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। ১৯৭১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ইন্দিরা গান্ধী মস্কো সফরে এসে ভারত-সোভিয়েত মৈত্রী চুক্তি সম্পাদনে সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান ব্রেজনেভকে ধন্যবাদ জানান। মস্কোতে ইন্দিরা গান্ধী তার বক্তৃতায় শুধু লিওনিদ ব্রেজনেভের নাম উল্লেখ করে বলেন, I am very happy to have come to your country and talked with your leaders. I am especially happy that the General Secretary, Mr. Brezhnev, was able to join the talks. I believe that our talks have been useful and that they will certainly lead to better understanding between us. (The Years of Endeavour; Selected speeches of Indira Gandhi August 1969-August 1972; p. 725)| বলা বাহুল্য, সোভিয়েত-ভারত মৈত্রী চুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম প্রধান শক্তিকে কাছে পায় বাংলাদেশ। এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে যেমন বৃহৎ শক্তি সোভিয়েত ইউনিয়নকে পাশে পেয়েছে। সোভিয়েত নেতাদের ইন্দিরা গান্ধীর পাশে দাঁড়ানোর এই চাওয়ার পেছনে ছিল তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা।
বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও বাঙালির প্রতি ইন্দিরা গান্ধীর আগ্রহের পেছনের কারণ ছিল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯৩৪ সালে ইন্দিরা গান্ধী যখন শান্তি নিকেতনে পড়তে আসেন তিনি শুধু গুরুদেবকেই পেলেন না, শিক্ষক হিসেবে পেলেন ক্ষিতিমোহন সেন, নন্দলাল বসু, এবং প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের মতো মনীষীদের। কবিগুরু তাঁকে এতোটাই স্নেহ করতেন, যার কারণে তিনি ইন্দিরা গান্ধীকে ডাকতেন প্রিয়দর্শিনী নামে। রবীন্দ্রনাথ ইন্দিরাকে পেয়ে খুশী হয়েছিলেন। শান্তি নিকেতন থেকে ইন্দিরা বিদায় নেবার পর জওহরলালকে ১৯৩৬ সালের ডিসেম্বরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে চিঠি লিখেছিলেন, তাতে ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি তাঁর ইতিবাচক পরিচয় পাওয়া যায়। রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন : “ইন্দিরা চমৎকার মেয়ে ; সে তার শিক্ষক ও সহপাঠিদের মনে একটা মধুর স্মৃতি রেখে গেছে তোমার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও আদর্শ সে পেয়েছে ।”
ইন্দিরা গান্ধী শান্তি নিকেতনের সেই দিনগুলোর কথা কখনো ভোলেন নি। শান্তি নিকেতনে তিনি কী পেয়েছিলেন-এমন উত্তরে বলেছিলেন শান্তি নিকেতনে এসে জানলাম, শিখলাম- শিল্পকলা জীবনের সঙ্গে মেশানো। গুরুদেবই আমাকে শিখিয়েছেন। “ জীবন আর শিল্প একসূত্রে গাঁথা।”
রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি ও আদর্শ তাই তাকে টেনে নিয়ে গিয়েছে বাংলা ও বাঙালির প্রতি ভালোবাসায়। বাংলাদেশের সংগ্রামে নিজের জীবন বিপন্ন করেও তার প্রতিদান দিয়েছেন। যার প্রমাণ মেলে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর কলকাতা সফরের সময়। সেদিন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী রবীন্দ্রনাথের অনুপ্রেরণার কথা উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন : “গুরুদেবের দূরদৃষ্টি ও জীবনদর্শন আমাদের উভয়কেই অনুপ্রাণিত করেছে। তাঁর বিরাটত্বের এটাই বড় প্রমাণ যে, তিনি আমাদের ও আপনাদের জনগণকে সমানভাবে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তারিখে ভারত সরকারের আমন্ত্রণে কলকাতা সফরে যান। ওই দিনের দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রসঙ্গ বারবার এসেছে। ১৯৭২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় আনন্দবাজার পত্রিকাতে সংবাদ শিরোনাম ছিল - ' দুই দেশকে অনুপ্রাণিত করেছেন রবীন্দ্রনাথ।' বঙ্গবন্ধুর কলকাতা সফরের পুরো অনুষ্ঠান জুড়েই ছিল রবীন্দ্র চেতনা দিয়ে সাজানো। ওই দিনের জনসভাস্থলে সমবেত কন্ঠে শুরুতে গাওয়া হয় ' বাঁধ ভেঙ্গে দাও' এবং সবশেষে ' আমার সোনার বাংলা' এবং 'জনগনমন' - কবিগুরুর লেখা দুটি জাতীয় সঙ্গীত, দুই প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রের। শুরুতে বঙ্গবন্ধুকে শুধু কলকাতা ও ভারতের জনগণের পক্ষ থেকেই নয় গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের শিষ্যা হিসাবেও শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী স্বাগত জানিয়েছিলেন। উল্লেখ্য যে, বঙ্গবন্ধুর সম্মানে কলকাতায় যে একটিমাত্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল সেটিও রবীন্দ্র নৃত্যনাট্য ' চিত্রাঙ্গদা'। আনন্দবাজার পত্রিকাতে এই অনুষ্ঠানের মনোরম বিবরণ পাওয়া যায়। এতে বলা হয়েছিল, "... ভোজসভা থেকে অতিথিরা চলে যান রাজভবনের দোতলায় পূর্ব প্রান্তের ঘরে। সেখানে রবিতীর্থের শিল্পীরা ' চিত্রাঙ্গদা' নৃত্য নাট্যটি অভিনয় করেন। একঘন্টা অনুষ্ঠান চলে। দুই প্রধানমন্ত্রী মুগ্ধ দৃষ্টিতে বসে অভিনয় দেখেন। অভিনয়ের পর তাঁরা শিল্পীদের সহ ছবি তোলেন। ' চিত্রাঙ্গদা' নৃত্যনাট্যে সঙ্গীতাংশে ছিলেন, শ্রীমতী সুচিত্রা মিত্র ও শ্রী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।" শুধু তাই নয়,বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানার্থে দেয়া রাষ্ট্রীয় ভোজ সভায় যে রবীন্দ্র সঙ্গীত বাজানো হয়েছিল তার মধ্যে ছিল ' আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্য সুন্দর', ' যে রাতে মোর দুয়ারগুলি', ' ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু' ইত্যাদি।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বিজয় অর্জনের পেছনে যেমন ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকা ছিল, ঠিক তেমনই বাংলাদেশ পুর্ণগঠনেও তিনি অনন্য ভূমিকা রাখেন। বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সৈন্যদের ২৫ মার্চ ১৯৭২-এর মধ্যে ভারতে ফিরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন । শুধু তাই নয়, ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ ঢাকার জনসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী নতুন দিনের নতুন বাংলাদেশে তার সহযোগিতার রূপ তুলে ধরেন স্বগতভাবে। এতে দিল্লির সহযোগিতা থাকবে কিন্তু প্রভাব থাকবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন৷ তিনি বলেন 'বাংলার বীরেরা সত্য ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা করেছেন। এবার নিজস্ব নীতির ভিত্তিতে দেশকে গড়ে তুলুন। ' স্বাধীনতা অর্জনে বাঙালি জাতির ত্যাগ, তিতিক্ষা ও সংগ্রামের প্রশংসা করে শ্রীমতী গান্ধী আরো বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের এই দুর্জয় শক্তিকে বাঙালি জাতি যদি দেশ গঠনের কাজে লাগায় তবে তাহাদের সোনার বাংলার স্বপ্ন সফল হবেই।
বাংলাদেশ সম্পর্কে ইন্দিরা গান্ধী ভারতের মনোভাব ব্যক্ত করছিলেন জনতার স্বতঃস্ফুর্ত মুহুর্মুহু জয়ধ্বনির মধ্যে। তেজগাঁও বিমান বন্দর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দীর্ঘ পথ। সারা পথ লোকে লোকারণ্য। মিছিলের স্রোত। শুধু পতাকা আর পতাকা । বাংলাদেশ আর ভারতের । আর থেকে থেকে উত্তাল জনতার জয়ধ্বনি হচ্ছিল ইন্দিরা গান্ধী, বঙ্গবন্ধু এবং ভারত বাংলাদেশ মৈত্রীর।সেদিন উচ্ছ্বসিত পত্র পত্রিকার ব্যানার শিরোনাম হলো কবিতার ভাষায় " আজিকে উষার শুভ্র লগনে উদিছে নবীন সূর্য গগনে।”
ঢাকা সফরে এসে ইন্দিরা গান্ধী ভারত বাংলাদেশ মৈত্রীর ক্ষেত্রে যে পদক্ষেপ নেন, তা শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসেই নয় দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও মৈত্রীর ইতিহাসে সূচনা করে এক নতুন অধ্যায়ের। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দুই প্রধানমন্ত্রী শান্তি মৈত্রী ও সহযোগিতার এক ঐতিহাসিক চুক্তিতেও স্বাক্ষর করেন। দু দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক সংহতির প্রতিশ্রুতিও দেন। এ চুক্তি অনেকটা আগস্ট ১৯৭১ সালে স্বাক্ষরিত ভারত সোভিয়েত মৈত্রী চুক্তির অনুরূপ। অথচ এই চুক্তির অপপ্রচার করে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলগুলো হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে বছরের পর বছর।
বস্তুত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নটি ইন্দিরা গান্ধীর কাছে ছিল গণতন্ত্রের এক আদর্শের লড়াই। বাংলাদেশ সমস্যার রাজনৈতিক ও মানবিক সমাধানই প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী গান্ধী চেয়েছিলেন। তাইতো দেশ-বিদেশের রাজধানীতে গিয়ে শ্রীমতী গান্ধী প্রতিটি রাষ্ট্রের প্রধানের নিকট বাংলাদেশের পক্ষে জোরালো বক্তব্য দিয়েছিলেন । বলেছিলেন : “ দুনিয়াতে আদর্শের জন্য অনেক লড়াই হয়েছে। যে লড়াইয়ের মোকাবিলা মিত্র বাহিনী ও মুক্তি বাহিনী করেছে সেটিও ছিল আদর্শের। সে আদর্শ স্বাধীনতার গণতন্ত্রের মানবতার । কোন বৈষয়িক লাভের জন্য নয়। পররাজ্য গ্রাসের জন্যও নয় এ লড়াই।”
শ্রীমতী গান্ধীর এ সাফল্যের মূলে রয়েছে তাঁর দূরদর্শিতা। ঘটনাকে যত তাড়াতাড়ি আঁচ করে নিতে পারেন তিনি, আর কেউ তেমন পারেন কিনা সন্দেহ। প্রতিটি ঘটনা ঘটবার আগে তার বাস্তব সম্ভাব্যতা সম্পর্কে শ্রীমতী গান্ধীর সিদ্ধান্ত ছিল সঠিক, অনন্য। নির্ভুল পদক্ষেপ। এই শিক্ষা তিনি পেয়েছিলেন তাঁর পিতা জহওরলাল নেহেরুর নিকট থেকে। ইন্দিরা গান্ধীকে তিনি যুগোপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তাঁর উদ্দেশে লেখা পত্রাবলী দিয়ে রচিত হয়েছে 'গ্লিমেস অব ওয়ার্ল্ড হিস্ট্রি বা 'বিশ্ব-ইতিহাস প্রসঙ্গ'। পিতা জওহর লাল নেহেরুর আদর্শের যথার্থ এই যোগ্য উত্তরসূরিকে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসে তাঁকে আজীবন স্মরণীয় করে রাখবে।
১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর। প্রাণ হারালেন ইন্দিরা গান্ধী। নিজের দুই দেহরক্ষীর গুলিতে লুটিয়ে পড়লেন। মাত্র ৬৬ বছর বয়সে ক্ষমতা থাকা অবস্থায় নিহত হলেন।
তার শাসনকালে সবচেয়ে বড় অবদান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নিজের জীবন বিপন্ন করেও অসামান্য সহযোগিতা করে গেলেন। বিশ্বের বুকে যার ফলে আজ বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম। ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুদিনে আমরা জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
লেখক: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপ-উপাচার্য।


