মোবাইল চোর সন্দেহে ভারতীয় ট্রাক চালক ও খালাসিকে মারধর বাংলাদেশের ভোমরা সীমান্তে

মোবাইল চোর সন্দেহে ভারতীয় ট্রাক চালক ও খালাসিকে মারধর বাংলাদেশের ভোমরা সীমান্তে
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন, বসিরহাটঃ বাংলাদেশের ভোমরা সীমান্তে মোবাইল ফোন চুরি সন্দেহে প্রথমে বচসা পরবর্তীতে মারধরের অভিযোগ উঠলো ভারতীয় ট্রাক চালক ও খালাসিকে। আক্রান্ত ভারতীয় চালকও খালাসী বসিরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাকে কেন্দ্রকরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঘোজাডাঙ্গা ও ভোমরা আমদানির রপ্তানি সংস্থার কর্মকর্তারা।
বসিরহাটের ভারত বাংলাদেশ ভোজাডাঙ্গা সীমান্তে বনগাঁ গোবরডাঙ্গা থেকে আসা ভুসি বোঝাই পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশের রপ্তারি করার সময় ভোমরা বর্ডারে একটি চায়ের দোকানে চা খেতে ঢোকে এই গাড়ির চালক ও খালাসী। সেই সময়ই দোকানের ব্যবসায়ীর একটি ফোন খোয়া যায়। এই নিয়ে শুরু হয় বচসা। সন্দেহ করে ভারতীয় চালক নিজামউদ্দিন মন্ডল ও খালাসী সাইফুদ্দিন মন্ডলকে দায়ী করা হয়। ফোন চুরি করেছে সন্দেহের বশে ব্যাপক মারধর করা হয়। মারধরের পর তাদের ভারতীয় সীমান্তে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আক্রান্ত পরিবারের লোককে খবর দেওয়া হলে পরিবারের সদস্যরা গোবরডাঙ্গার বাড়ি থেকে হাসপাতালে আসে। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আক্রান্ত নিজাম উদ্দিন মন্ডল ও সাইফুদ্দিন মন্ডলের অভিযোগ, ফোন চুরির কেবলমাত্র সন্দেহে বসে আমাদেরকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা লাঠি ইট দিয়ে বেধরক মারধর করে। গুরুতর জখম অবস্থায় ভারতীয় সীমান্তে এসে ঘোজাডাঙ্গা আমদানি রপ্তানি সংস্থার ট্রাক অ্যাসোসিয়েশন পুরো বিষয়টি জানাই। তারপর তাদেরকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে শুধুই কি ফোন চুরির সন্দেহে মারধোর করা হল। না এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে। তদন্ত শুরু করেছে ঘোজাডাঙ্গা ও ভোমরা আমদানির রপ্তানি সংস্থা।


