অশান্তির কালো মেঘ পাহাড়ে, কেন্দ্র-রাজ্য দুই সরকারকেই নিশানা রোশনের

অশান্তির কালো মেঘ পাহাড়ে, কেন্দ্র-রাজ্য দুই সরকারকেই নিশানা রোশনের
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: ২০১১ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জিটিএ চুক্তিতে সই করেছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। এবার জিটিএর সেই চুক্তি থেকে সই ফিরিয়ে নিচ্ছেন বলে জানিয়ে দিলেন রোশন গিরি। রোশনের অভিযোগ, জিটিএ চুক্তি হলেও সেই চুক্তিভিত্তিক কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি সরকার। গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন শুরু করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে তিনি বলেন, এবার আর পাহাড়, তরাই এবং ডুয়ার্সে আন্দোলন হবে না। কোনো বিক্ষোভ হবে না। এবার আন্দোলন একেবারে দিল্লীকেন্দ্রিক হবে।
শিলিগুড়ির দাগাপুরে দলীয় কার্যালয়ে বসে সাংবাদিক বৈঠক করে রোশন গিরি জানান, গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের এই সিদ্ধান্তে সমর্থন রয়েছে অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি বিনয় তামাং এবং প্রদীপ প্রধানদের। প্রত্যেককে নিয়ে একটি জাতীয় মঞ্চ তৈরি হয়েছে। এবার সমস্ত সিদ্ধান্তই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে নিতে হবে। একটা সময় দার্জিলিং জুড়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে হিংসাত্মক আন্দোলন শুরু হয়েছিল। অশান্তি একেবারে নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পুলিশ প্রশাসন সক্রিয় হতেই বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা গা ঢাকা দেন। তারপরে কখনো তৃণমূলের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক, কখনো ফাটল, সবকিছুই দেখা গিয়েছে।, দার্জিলিং এর উপরে বহু বরফ পড়েছে। সেসব এখন অতীত। নতুন করে গোর্খাল্যান্ডের আন্দোলনের ডাক দেওয়ায় আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে অশান্তির ঘন মেঘ। রোশন গিরি বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিজেপিকে সমর্থন করেছিলাম। বিজেপির শাসনকালে কোনো কিছুই করা হয়নি। ২০২৪ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রের সরকারে রয়েছে বিজেপি। আশা করি কিছু একটা হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেও ভরসা করেছিলাম। মেমোরান্ডাম অফ এগ্রিমেন্ট এন্ড অ্যাক্ট অনুযায়ী জিটিএতে তরাই, ডুয়ার্স, সমতল অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন ছিল। কিন্তু সে সমস্ত কার্যকর হয়নি। এই বিষয়ে সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, কোনো চুক্তিতে সই করে আবার ফিরিয়ে নিলাম এটা হয় না। তবে সরকারের উচিত জিটিএ চুক্তি কার্যকর করা। শিলিগুড়ির পুরচেয়ারম্যান গৌতম দেব জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময়ে পাহাড়ে উন্নয়ন হয়েছে। শান্তি ফিরেছে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এখন অপ্রাসঙ্গিক।


