এক ভরি সোনার গয়না দিতে না পারায় গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ অভিযোগ উঠল শ্বশুর-শাশুড়ি এবং বরের বিরুদ্ধে, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ

এক ভরি সোনার গয়না দিতে না পারায় গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ অভিযোগ উঠল শ্বশুর-শাশুড়ি এবং বরের বিরুদ্ধে, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: প্রায় দশ মাস আগে সাবেদা খাতুনের বিয়ে হয়েছিল ফরাক্কার ব্রাহ্মণ গ্রামের বাসিন্দা রবিউল সেখের। বেশ কিছুদিন পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে তার সাবেদার উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালাতে। প্রায় একমাস আগে সাবেকাকে এক ভরি সোনার মালা আনতে বলে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন, এমনই অভিযোগ। সেই সোনার গয়না না দেওয়ার কারণেই তার উপর অত্যাচার প্রচন্ড বেড়ে যায়। অবশেষে সাবেকাকে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল শ্বশুর-শাশুড়ি এবং তাঁর বরের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কায়। সাবেদা খাতুনের বয়স ১৮ বছর। বাবার বাড়ি সামশেরগঞ্জ থানার মালঞ্চ গ্রামে। বাবা মায়ের মুখের দিকে দেখে মেয়ে সব অত্যাচার মুখ বুঝে সহ্য করত। মেয়েটির বাবার দাবি, বেশ কয়েকদিন আগে মেয়ের উপর চরম অত্যাচার করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সেই কথা শুনে বৃহস্পতিবার মেয়ের শ্বশুর বাড়ি গিয়ে তাদের পারিবারিক ঝামেলা মিটিয়ে বাড়ি আসি। আর তার পরেই শুক্রবার গ্রামবাসীর মুখে খবর পায় যে তার মেয়ে মৃত অবস্থায় বারান্দায় পড়ে রয়েছে। মেয়ের শ্বশুরবাড়ি গিয়ে দেখি মেয়ে তার শ্বশুরবাড়ির বারান্দায় পড়ে আছে এবং তার গলায় ফাঁস দেওয়ার মতো দাগ হয়ে আছে।
ঘটনার খবর ফরাক্কা থানায় দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ফরাক্কা থানার পুলিশ। মেয়েকে নিয়ে বেনিয়াগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে জঙ্গিপুর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এই ঘটনায় মৃতের বাবার কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ফরাক্কা থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার জেরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা পরিবারজুড়ে।


