দিল্লি অচল করে দেবো, শহিদ মিনার ময়দান থেকে হুঁশিয়ারি অভিষেকের

দিল্লি অচল করে দেবো, শহিদ মিনার ময়দান থেকে হুঁশিয়ারি অভিষেকের
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: আজ ট্রেলার দেখালাম। এই আন্দোলন এবার দিল্লিতে নিয়ে যাবো। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ইডি, সিবিআই তদন্ত করছে, করুক। আমার কোনও সমস্যা নেই। আগে সারদা, নারদা ছিল, এখন গরু, কয়লা, এসএসসি, টেট নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, তদন্তে আমার বিরুদ্ধে যদি একটা প্রমাণও মেলে আমাকে জেলে ভরতে হবে না। আমি ফাঁসির দড়ি গলায় পরে নেবো। আমি জেদি ছেলে। এই আন্দোলনকে এবার দিল্লিতে নিয়ে যাবো। দিল্লিও অচল করে দেবো। এই ভাষাতেই এদিন কেন্দ্রীয় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পদ খারিজের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার শহিদ মিনার ময়দানে দলের ছাত্র ও যুবদের সমাবেশ থেকে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। কয়েকদিন আগে একটি মামহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খারিজ করেছে লোকসভার সচিবালয়। এদিনের মঞ্চ থেকেই এই ইস্যুতে রাহুলের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। তিনি হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, উনি একটি সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন। আমি ওনার বক্তব্যকে সমর্থন করি না। কিন্তু ওই কারণে যদি ওনার সদস্যপদ বাতিল করা হয়, তাহলে সুরাতের আদালতের ওই রায়কে সামনে রেখে আমি বলবো প্রধানমন্ত্রীর সাংসদ পদ খারিজেরও দাবি জানাবো। এজন্য দলের আইনজীবীদের উদ্যোগ নিতেও বলেন অভিষেক। তিনি বলেন, একুশের নির্বাচনের আগে এসে যখন রাজ্যে এসে ‘দিদি, ও দিদি’ বলে বাংলার মা–বোনেদের অপমান করলেন তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পদ কেন খারিজ হবে না? বিজেপি করলে একরকম আইন। আর তৃণমূল কংগ্রেস করলে আর একরকম আইন! এরপরই তিনি নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনি বলেন, আমাদের বীরবাহা হাঁসদা, সুকুমার হাঁসদাকে উদ্দেশ্য করে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, এরা আমার জুতার তলায় থাকে। এটা আদিবাসী মানুষের ভাবাবেগে আঘাত নয়? তাহলে কেন জেলের বাইরে থাকবে বিরোধী দলনেতা? কেন তার পদ খারিজ হবে না? এটা নিয়েও মামলা দায়ের করা হবে।


