কর্পূরের এত গুণের কথা জানতেন আগে

কর্পূরের এত গুণের কথা জানতেন আগে
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন : প্রতিদিনকার পুজো আরতি যে জিনিসটি ছাড়া অসম্পূর্ণ তা হলো এক টুকরো কর্পূর। কিন্তু জানেন কি এই এক টুকরো কর্পূর এর গুন কত? এর কাজ শুধু মাত্র আপনার পুজোর ঘরেই সীমাবদ্ধ নয়। এর বাইরেও কর্পূর আপনার নানান সমস্যার সমাধানের একমাত্র উপায় হয়ে উঠতে পারে।
ত্বকের পরিচর্যায় কর্পূর বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এটি আমাদের ত্বকে খুব সহজেই শোষিত হয় এবং এক ঠাণ্ডা অনুভূতি প্রদান করে।শুধু তাই নয় এটি ত্বকের চুলকানি ও জ্বালাভাব দূর করে, চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।চলুন জেনে নেওয়া যাক কর্পূরের এমনই কিছু গুণাবলীর কথা।
ত্বকের পরিচর্যায় কর্পূর
কর্পূরে রয়েছে অ্যান্টি-ফাংগাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য, যা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা, যেমন - চুলকানি এবং জ্বালা ভাব দূর বিশেষ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি ত্বকের ক্ষত নিরাময়ের ক্ষেত্রেও বিশেষ উপকার দেয়।
সামান্য পোড়া অংশ এবং পোড়া দাগ নিরাময় কর্পূরে ম্যাজিকের মতন কাজ করে। এক্ষেত্রে সামান্য পরিমাণ কর্পূর নিয়ে জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত পোড়া জায়গাটিতে লাগান, উপকার মিলবে।
অনেকেরই পায়ের নখের ফাঙ্গাল ইনফেকশন থেকে বেশ ব্যাথা যন্ত্রনা হয়। এক্ষেত্রে কর্পূরের পেস্ট লাগালে বেশ খানিকটা স্বস্তি পেতে পারেন।অ্যান্টি-ফাংগাল এবং অ্যান্টিসেপটিক গুনে ভরপুর এই উপাদান ইনফেকশন সারিয়ে তুলতে ভীষণ ভালো কাজ দেয়। পাশাপাশি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে ত্বকে যে কোনো ধরনের ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হওয়ার হাত থেকেও মুক্তি দেয়।
কর্পূরে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যা থাকার কারণে এটি ত্বকের যে কোনো প্রকার ব়্যাশ থেকে আপনাকে মুক্তি এনে দিতে পারে। কর্পূর মিশ্রিত জল নিয়ে ত্বকের ব়্যাশের ওপর লাগান, ফলাফল পাবেন হাতেনাতে!
তবে কর্পূর ব্যবহারের সময় এই কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখেবন
প্রথমত কর্পূর থেকে বিষক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যার প্রাথমিক লক্ষণগুলি হল খিঁচুনি, পেশী সংকোচন, স্নায়ুর ওপর প্রভাব, বিভ্রান্তি হওয়া, ইত্যাদি।
দ্বিতীয়ত যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কোনওভাবেই কর্পূর ব্যবহার করা চলবে না।
যাদের হাঁপানির সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার না করাই ভালো।


