‘মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করিনি’, দলের মধ্যে প্রবল চাপে পড়ে শুভেন্দুর ভোলবদল

‘মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করিনি’, দলের মধ্যে প্রবল চাপে পড়ে শুভেন্দুর ভোলবদল
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে সাড়া দিয়ে তাঁর ঘরে গিয়ে প্রবল চাপে বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সংবাদমাধ্যমের খবর, ঘরে গিয়ে দুজনে কুশল বিনিময় করার পর শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করেন, চাও খান। এই খবর প্রচার মাধ্যমে আসতেই দলের মধ্যে প্রবল চাপে শুভেন্দু। এই অবস্থায় চাপের মুখে পড়ে পুরোপুরি ভোলবদল করলেন বিরোধী নেতা। এদিন সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণামই করেননি তিনি। এমনকী চাও খাননি।
অথচ গত শুক্রবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর বলেছিলেন, বড়দের তো প্রণাম করতেই হয়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে। ফলে সেটা নিয়ে প্রতিদিনই কিছু না কিছু ব্যাখ্যা দিয়ে চলেছেন বিরোধী দলনেতা। আর ততই তিনি জড়িয়ে পড়ছেন বিতর্কের জালে, এমনই মনে করছে রাজনৈতিকমহল। সাংবাদিক বৈঠকে প্রণাম করা নিয়ে কোনও কথা না বললেও নিজের ঘরে বসে তিনি দাবি করেন, প্রণাম করেননি। এটা ভুল খবর। চেয়ারেও বসেননি, চাও খাননি। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দলীয় নেতা, কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়েই মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করা নিয়ে এখন পিছু হঠলেন বিরোধী দলনেতা। বিষয়টি নিয়ে দলের কর্মীদের মধ্যে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে তা সোমবারই রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সহ-সভাপতি রাজকমল পাঠক স্বীকার করে নিয়েছেন। সেখানেই না থেমে তিনি এ নিয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সংগঠন বি এল সন্তোষকে। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, সৌজন্য সাক্ষাৎ হতেই পারে কিন্তু বিরোধী দলনেতা সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এটা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন দলের সাধারণ কর্মীরা। রাজকমল পাঠকের এই চিঠি নিয়ে প্রথমে কিছু না বললেও পরে শুভেন্দু বলেন, রাজকমল পাঠক আমাদের পার্টির বর্ষীয়ান নেতা। আশা করি ভবিষ্যতে তৃণমূলের বড় কোনও নেতাকে হারিয়ে তিনিও পার্টির প্রতি নিজের আনুগত্যের প্রমাণ দেবেন।


