আর কত অপমানিত হবেন? পুরনো তৃণমূলিদের বিজেপিতে আহ্বান, ঘোষণা সুকান্ত মজুমদারের

আর কত অপমানিত হবেন? পুরনো তৃণমূলিদের বিজেপিতে আহ্বান, ঘোষণা সুকান্ত মজুমদারের
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: ফের বসে যাওয়া পুরনো তৃণমূল কর্মীদের বিজেপিতে আসার বার্তা দিলেন বিজেপির রাজ্যছ সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শনিবার তিনি তৃণমূলের পুরনো নেতাদের উদ্দেশে বলেন, তৃণমূলের বৈঠকে পুরনো নেতারা অপমানিত হয়েছেন। তাই ফিরহাদ হাকিমও বলছেন, কন্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে। অপমানিত হয়ে কেন দলে থাকবেন আপনারা? প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত মজুমদার। এভাবেই ফের নিজেদের ক্ষমতায় নয় তৃণমূলকে ধরেই বাঁচতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। একুশের হারের পর রাজ্যে দলের সংগঠন কার্যত তলানিতে। নেতা, কর্মীরা প্রতিদিনই নিয়ম করে দল ছাড়ছেন। মিটিং, মিছিলেও লোক হয় না। বুথ কমিটিরও কোনও অস্তিত্ত্ব নেই। একুশের নির্বাচনের আগে অন্যদল থেকে লোক ভাঙিয়ে এনেও মুখ থুবড়ে পড়েছিল দল। এবারও দল বাঁচাতে ফের সেই তৃণমূলকেই আঁকড়ে ধরতে চাইলেন বিজেপি নেতারা।
রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এদিন বলেন, তৃণমূলের বসে যাওয়া নেতা, কর্মীরা বিজেপিতে স্বাগত। এতেই পরিষ্কার নিজেদের ক্ষমতায় আর বিজেপিকে চালাতে পারছেন না তাঁরা। সুকান্তর এই মন্তব্যা নিয়ে বিজেপিকে পাল্টা তোপ দেগেছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, তৃণমূলের সব প্রজন্ম একসঙ্গে লড়াই করছে। সিনিয়র—জুনিয়র একসঙ্গে কাজ করছে। একুশের নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে লোক ভাঙিয়ে নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু মানুষের রায়ে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। যোগদান মেলা করে অন্যক দল থেকে লোক ধরে এনেছিল বিজেপি। একুশের ভোটে হারার পর অন্য্ দল ভাঙিয়ে লোক নিয়ে আসা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের মধ্যেও সমালোচনার ঝড় ওঠেছিল। নতুন ও পুরনো বিজেপির লড়াই তীব্র আকার নিয়েছিল। অভিযোগ, বর্তমান নেতাদের কাজকর্মের জেরে বিজেপির পুরনো নেতা—কর্মীদের বড় অংশ আজ নিষ্ক্রিয়। সুকান্তর এই মন্তব্যের পর ফের সেই প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরে। যে কৌশল একুশে ব্যর্থ হয়েছিল তা আবার তেইশে কেন ফেরানোর চেষ্টা হচ্ছে? গেরুয়া শিবিরের একাংশ মনে করছে, বিজেপির পুরনো নেতা—কর্মীদের সক্রিয় না করে, কেন অন্যফ দলের নেতা, কর্মীদের ফের দলে টানার চেষ্টা করা হচ্ছে? তবে কি রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে লড়াই করার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে বঙ্গ বিজেপি?


