হিঙ্গলগঞ্জে ভাত, ট্যাংরা মাছের ঝাল খাওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী লিখলেন?

হিঙ্গলগঞ্জে ভাত, ট্যাংরা মাছের ঝাল খাওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী লিখলেন?
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: উত্তর চব্বিশ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ সফলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে একাধিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন। শীতের আগে এলাকার মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। যান স্কুলেও। তারপর নদীপথেও ঘোরেন। গ্রামের মানুষের সঙ্গে এক সঙ্গে খেলেনও। চামচ নয়, হাতে করে। খাবার পর কেমন অনুভূতি হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নিজেই সে কথা লিখলেন তিনি।
ফেসবুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, "মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক,
আমি তোমাদেরই লোক"
গ্রাম বাংলার সাথে আমার নাড়ির বন্ধন অচ্ছেদ্য গ্রন্থিতে আবদ্ধ। আজ উত্তর ২৪ পরগনা সফরে সেই বন্ধন আরও সুদৃঢ় হল। বাংলার মানুষ পরিচিত অতিথি-বৎসল হিসাবে, আজ এই জেলার খাঁপুকুরে আবারও সেই অভিজ্ঞতা হল। এক স্থানীয় বাসিন্দাকে আমি জিজ্ঞাসা করি, "আপনারা কী খাচ্ছেন?" তাঁরা জবাব দেন, "ভাত, ট্যাংরা মাছের ঝাল আর আলু ওলের তরকারি।" আমিও মহানন্দে তাঁদের সাথে বসে পড়ি মধ্যাহ্নভোজে। তাঁরা আমাকে চামচ এগিয়ে দেন ভাত খেতে, আমি বলি, "আমি তো চামচে খাই না, আপনাদের মতোন হাত দিয়েই খাই।" সেইসময় সবার আন্তরিকতা ও ভালোবাসা দেখে আমার মনে হয় আমি তাঁদের পরিবারের-ই একজন। গ্রামের বাড়ির দাওয়ায় বসে প্রাণের আলাপচারিতার সাথে এই খাবারের স্বাদ যেন অমৃতসম। পাশাপাশি তাঁদের সাথে হাত লাগলাম ঝাঁটা বোনায়। তাঁদের শিল্পসত্তা দেখে আমি মুগ্ধ।
আজ এখানকার স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের সঙ্গেও অন্তরঙ্গ বার্তালাপ হয়, সবার মধ্যে বিতরণ করা হয় শীতবস্ত্র। টাকি গভর্নমেন্ট কলেজের নতুন বিল্ডিং-এর জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। নতুন প্রজন্ম-ই বাংলার আলোর দিশারী - আমি দৃঢ়প্রত্যয়ী তাঁদের অধ্যবসায়, প্রতিভা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টা বাংলা'কে নিয়ে যাবে এক অনন্য উচ্চতায়।
বাংলা আমাদের গর্ব, রাজ্যবাসী আমার প্রাণের দোসর। প্রশাসনিক ব্যস্ততার ফাঁকে এইসব দিনযাপন-ই আমার চরৈবেতি মন্ত্র। মানুষের ভালোবাসাই রাজ্যের উন্নয়নে আমৃত্যু অক্লান্ত পরিশ্রম করে যেতে আমায় প্রেরণা জোগাবে।’’


