বিতর্কের মাঝে শ্যেন ওয়ার্ন কিংবদন্তি হিসেবেই থেকে যাবেন

বিতর্কের মাঝে শ্যেন ওয়ার্ন কিংবদন্তি হিসেবেই থেকে যাবেন
বিপ্লব বসু
শ্যেন ওয়ার্ন ছিলেন এমন একজন ক্রিকেটার, যাঁকে আপনার পছন্দ না হতেও পারে, কিন্তু তাঁর অনন্য প্রতিভাকে অস্বীকার করবেন কি করে!
প্রকৃত একজন ম্যাচ উইনার ছিলেন। স্টিভ ওয়ার, রিকি পন্টিং দের নেতৃত্বে তিনি ছিলেন ম্যান অব ক্রাইসিস। ওয়ার্ন, যিনি উইজডেনের চলতি শতকের পাঁচজনের মধ্যে একজন ক্রিকেটার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি একদিনের ক্রিকেটে ২৯৩টি উইকেট এবং টেস্টে ৭০৮টি উইকেট নিয়ে তাঁর ঝকঝকে ক্যারিয়ার শেষ করেছিলেন।
১৯৯২ সালে সিডনিতে ভারতের বিপক্ষে ওয়ার্নের দেশের মাটিতে টেস্ট অভিষেক হয়। ১৯৯৩- এর মার্চে বিদেশের মাটিতে প্রথম টেস্ট খেলেন ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের। তিনি ১৯৯৯ সালে ওই ঔঅস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম সেরা কারিগর ছিলেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফাইনালে ৩৩ রানে ৪টি উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার শিরোপা পেয়েছিলেন।
ওয়ার্ন বেশিরভাগ দলের বিপক্ষে বোলিংই উপভোগ করতেন। বিশেষ করে ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জ্বলে উঠতেন। ১৯৯৩ সালে ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে অ্যাসেজ টেস্টে মাইক গ্যাটিংয়ের বিরুদ্ধে করা বলটি শতকের সেরা বল হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। টেস্ট ইনিংসে তাঁর সেরাটি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এসেছিল ১৯৯৪ সালে ব্রিসবেনে। তিনি ৭১ রানে ৮টি উইকেট পেয়েছিলেন। টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর সেরা পারফরম্যান্সের মধ্যে একটি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও এসেছিল, যখন তিনি ৪০টি উইকেট নিয়ে আইকনিক ২০০৫ সিরিজ শেষ করেছিলেন এবং সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হন। ওয়ার্নকে তাঁর নেতৃত্বের দক্ষতার জন্যও স্মরণ করতে হবে।
২০০৮ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী সংস্করণে রাজস্থান রয়্যালসের খেতাব জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। পরে এই দলের মেন্টরের দায়িত্বও পালন করেছেন। ওয়ার্নের খেলার ক্যারিয়ারও বিতর্কের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ওয়ার্ন তাঁর টুপিতে আরেকটি বিশ্বকাপের পালককে প্রতিষ্ঠিত করতে পারতেন। কিন্তু ড্রাগ টেস্টের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০০৩ বিশ্বকাপের আগে তাঁকে দেশে ফেরৎ পাঠানো হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে মার্ক ওয়াসহ একজন জুয়াড়ির কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাঁকে জরিমানা করেছিল। তাই ওয়ার্ন বিতর্কিত হলেও, তিনি একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার হিসেবেই ক্রিকেট ইতিহাসে থেকে যাবেন।


