শৈশব থেকে কৈশোর, বিভিন্ন বয়সে মানসিক সমস্যায় মোবাইলই কেন?

শৈশব থেকে কৈশোর, বিভিন্ন বয়সে মানসিক সমস্যায় মোবাইলই কেন?
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদনঃ কম বয়সে মোবাইল ফোন পাওয়ার জন্যেই বিপদে পড়ছে তরুণ ও কিশোরেরা। এরকমই দাবী করলেন বিশেষজ্ঞেরা। স্যাপিয়েন ল্যাব নামক ওই গবেষণা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কম বয়সে হাতে ফোন পাওয়ার কারণেই চরম মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে কিশোর ও তরুণরা। গবেষকদের কথায়, যত অল্প বয়সে ফোন হাতে দেওয়া হচ্ছে, ততই মানসিক অবস্থা সঙ্গীন হচ্ছে তাঁদের। তুলনায় দেখা গিয়েছে, যারা বেশি বয়সে হাতে ফোন পেয়েছেন, তাঁদের মানসিক সমস্যার হার অনেকটাই কম। তবে শুধু তরুণ ও কিশোররা নয়, ছোট্ট খুদেরাও একই সমস্যার শিকার বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৮ বছর পর্যন্ত গবেষণার অংশ নেওয়া তরুণ ও কিশোররা যত বেশি বয়সে ফোন হাতে পেয়েছে, ততই কমেছে তাদের মানসিক সমস্যার হার। মহিলাদের ক্ষেত্রে এই হার ৭৪ শতাংশ থেকে কমে ৪৬ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে পুরুষদের মানসিক সমস্যার হার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ৪২ শতাংশ থেকে কমে ৩৬ শতাংশ হয়েছে। এছাড়া তরুণদের মধ্যে ভালো থাকার হারও এর সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে কমেছে। মানসিক স্বাস্থ্যের যত অবনতি হয়েছে, ততই সামাজিক মেলামেশার প্রবণতা কমেছে। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষতামূলক কার্যক্ষমতা।
ফোনের মাধ্যমে যে জগতের সঙ্গে কিশোর ও তরুণ বয়সেই পরিচয় হচ্ছে, সেই জগতই এই সমস্যার মূলে। গবেষকদের দাবি, সমাজ মাধ্যমে অত্যাধিক পরিমাণে সময় কাটানো ও ভার্চুয়াল জগতের সঙ্গে অনেকটা জড়িয়ে পড়াই এর মূলে রয়েছে। এক ফেসবুকের সমীক্ষায় উঠে এসেছে মেয়েদের মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম অ্যাপের জড়িয়ে থাকার ঘটনার কথাও। সেখানে সময় কাটানোর উপরেই নির্ভরশীল অনেকটা।


