স্থায়ী কিংবা অস্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি না হারাতে চাইলে এই নিয়মগুলি অবশ্যই মেনে চলুন

স্থায়ী কিংবা অস্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি না হারাতে চাইলে এই নিয়মগুলি অবশ্যই মেনে চলুন
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: হেডফোন, ইয়ারফোন বা ইয়ারবাডস- এই ইলেকট্রনিক প্রোডাক্টগুলি বর্তমানে আমাদের সকলেরই দৈনন্দিন জীবনের এক অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। অফিস হোক বা বাড়ি, দিনের অনেকটা সময়েই আমাদের কানে এই ধরনের যন্ত্রগুলি গোঁজা থাকে। সারা দিনের ব্যস্ত জীবনের ক্লান্তিকে দূরে সরিয়ে মন ভালো করতে অনেকেই মোবাইলে গান শোনা বা সিনেমা দেখাকে এক অন্যতম বিকল্প হিসেবে বেছে নিয়েছেন, যার ফলে চলতি সময়ে এই ধরনের ইলেকট্রনিক গ্যাজেটগুলির ব্যবহার ব্যাপক পরিমাণে বেড়েছে।
তবে আপনারা কি জানেন যে, দীর্ঘ সময় ধরে এই ধরনের যন্ত্রগুলিকে কানে লাগিয়ে রাখলে দেখা দিতে পারে বড়োসড়ো রকমের বিপদ, এমনকি মানুষ চিরতরের জন্য শ্রবণশক্তিও হারিয়ে ফেলতে পারে। স্থায়ী কিংবা অস্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি না হারাতে চাইলে এই নিয়মগুলি অবশ্যই মেনে চলুন:
১. ভলিউম লো করে রাখুন- সবসময় কম ভলিউমে ইয়ারফোনে গান শুনুন। কিছু মানুষ আছেন যারা এমন হাই-ভলিউম করে রাখেন যে, পাশে বসা ব্যক্তিটিও তিনি হেডফোনে কি শুনছেন তা জেনে যান। তবে নিজেদের কানের সুরক্ষার কথা ভেবে এমন কাজ কিন্তু ব্যবহারকারীদের করা কোনোমতেই উচিত নয়।
২. নয়েজ ক্যান্সেলেশন সাপোর্টযুক্ত হেডফোন ব্যবহার করুন- গান শোনার সময় ব্যাকগ্রাউন্ডের শব্দ যাতে কানে এসে না পৌঁছোতে পারে, তার জন্য অনেকেই হেডফোনের ভলিউম বাড়িয়ে রাখেন। সেক্ষেত্রে বলি, এই ধরনের সমস্যার হাত থেকে রেহাই পেতে ব্যবহারকারীরা নয়েজ ক্যান্সেলেশন (Noise Cancellation) সাপোর্টযুক্ত হেডফোন ব্যবহার করতে পারেন। এতে ব্যাকগ্রাউন্ডের শব্দ তো শোনা যাবেই না, সেইসাথে জোরে গান শোনার ফলে ব্যবহারকারীদেরকে কানের সমস্যায়ও ভুগতে হবে না।
৩. ইয়ারবাডস নয়, হেডফোন ব্যবহার করুন- কাজের প্রয়োজনে যদি প্রতিদিন লম্বা সময় ধরে হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে তো আর ইউজারদের কাছে এই ডিভাইসগুলিকে দূরে সরিয়ে রাখার কোনো সুযোগ থাকে না। তবে সেক্ষেত্রেও চাইলে কিন্তু তারা নিজেদের কানকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন। কানের সমস্যাকে এড়িয়ে চলতে ইয়ারবাডসের বদলে হেডফোন ব্যবহার করতে পারেন ইউজাররা। কারণ ইয়ারবাডস ইয়ারলোবকে পুরোপুরিভাবে আচ্ছাদিত করে রাখে এবং কানের পর্দার একদম কাছাকাছি থাকে। অন্যদিকে, ওভার-ইয়ার হেডফোনগুলি সবদিক দিয়ে কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য প্রদান করে। এই সমস্ত হেডফোন যেহেতু সরাসরি ইয়ার ক্যানালকে টাচ করে না, তাই শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটাই কমে যায়।
৪. একটানা অনেকক্ষণ ধরে ইয়ারফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে মাঝে কিছুটা সময় কানকে রেহাই দিন- একটানা ৩০ মিনিট ইয়ারফোন ব্যবহারের পর অন্ততপক্ষে ৫ মিনিট কানকে রেহাই দিন। আবার, কাজের প্রয়োজনে নিতান্তই যদি প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে রাখতে হয়, তাহলে অবশ্যই এরপর ১০ মিনিট কানকে বিশ্রাম দেওয়ার চেষ্টা করুন। এই পন্থা অবলম্বন করলে শ্রবণশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি থেকে অনেকটাই মুক্ত হতে পারবেন ইউজাররা।


