অবশেষে নওশাদের সঙ্গে দেখা হল, কলকাতা অচল করার হুঁশিয়ারি দিলেন পীরজাদারা

অবশেষে নওশাদের সঙ্গে দেখা হল, কলকাতা অচল করার হুঁশিয়ারি দিলেন পীরজাদারা
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: তৃণমূল- আইএসএফ সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়। এই সংঘর্ষের আঁচ এসে পড়ে কলকাতায়। রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়ে ছিল ধর্মতলা চত্বর। সেই দিন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তাকে আদালতে তোলা হলে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। আর এরপরেই ফুরফুরা শরীফের পীরজাদারা কলকাতা অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার পীরজাদারা লালবাজারে পৌঁছে যান। সেখানে নওশাদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চাইলেও প্রথমে কথা বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ বিধায়কের দাদা কাশেম সিদ্দিকীর। তিনি বলেন, নওশাদের সঙ্গে একা কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। পীরজাদার গায়ে হাত দিয়েছে এই সরকার। পাশাপাশি, আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে ছাড়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটার কথাও বলেছেন তারা। মঙ্গলবার দুপুরে লালবাজারে পৌঁছে যান পীরজাদারা।
তাঁরা বলেন, নওশাদের সঙ্গে তারা দেখা করতে চান। কিছু পোশাক দিতে চান। কিন্তু পুলিশ ঢুকতে না দিলে পীরজাদারা জানিয়ে দেন, যদি ঢুকতে না দেওয়া হয় তাহলে ফুরফুরা শরীফের ক্ষমতা দেখতে পাবে সরকার। সেন্ট্রাল লকআপে সাধারণত কারো সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয় না। তবে পুলিশ কমিশনারের অনুমতি পাওয়ার পর কাশেম সিদ্দিকী, সাউদ সিদ্দিকী এবং নাজনুস সৈয়দ সিদ্দিকী তিনজনে নওশাদ সিদ্দিকীর সঙ্গে দেখা করেন। তবে তারা বলেছেন, আলাদা করে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। অফিসারদের সামনেই দেখা করতে বলা হয়েছে। পীরজাদারা বলেন, নওশাদ ষড়যন্ত্রের কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়েছেন। কাশেম বললেন, অফিসারেরা ঘিরে রেখেছিলেন। ভাই কিছু বলতে পারেনি। বলেছে পরে বাইরে গিয়ে বলব। যা বলার আদালতে বলবো। পাশাপাশি, পীরজাদা পরিবারের অভিযোগ, স্পিকারের অনুমতি ছাড়া বিধায়ককে কিভাবে গ্রেফতার করা হলো? তারা পরিবারের তরফে দেখা করতে এসেছেন বলে জানান।


