ড্রোনের মাধ্যমে চাষের জমিতে সার ও কীটনাশক স্প্রে, কৃষিক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হল বীরভূমে

ড্রোনের মাধ্যমে চাষের জমিতে সার ও কীটনাশক স্প্রে, কৃষিক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হল বীরভূমে
শুভদীপ গুঁই, বীরভূম
স্প্রে মেশিন আগেই এসেছিল। যার ফলে কৃষিক্ষেত্রে এসেছিল এক পরিবর্তন। কিন্তু দ্রুততার যুগে এবং অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে সাধারণ স্প্রে মেশিনও এবার পিছিয়ে পড়ছে। কারণ, তাতেও তো লাগছে শ্রম। সঙ্গে দীর্ঘ সময়ও।
এবার শ্রম ও সময় – দু’টোই কমাতে চালু হল ড্রোনের মাধ্যমে কীটনাশক স্প্রে। রাসায়নিক বা জৈব সার স্প্রে। এর ফলে কী সুবিধে হবে? বিশেষজ্ঞদের মতে, এক সঙ্গে একাধিক সুবিধে মিলবে। প্রথমত খরচ কমবে মজুরির। বাঁচবে অনেক সময়। তারই সঙ্গে আরও একটি সুবিধে মিলবে। তা হল, কীটনাশক হোক বা সার সেটির ব্যবহার হবে প্রয়োজন মতো। নির্দিষ্ট মাত্রার বাইরে যাবে না। যেটা সাধারণ পদ্ধতিতে করা কঠিন। সেদিক দিয়ে দেখলে বাঁচবে সার বা কীটনাশকের খরচও।
ব্যাঙ্ক ও নাবার্ডের সহোযোগিতায় বীরভূম জেলার ভালাশ গ্ৰাম সংলগ্ন এলাকায় তা পরীক্ষামূলকভাবে দেখানোও হল মঙ্গলবার। তবে এখনও পর্যন্ত একটি ড্রোনই মঞ্জুর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বীরভূমের এলডিএম পৃথ্বীশ দাস।
বীরভূমে নাবার্ডের প্রতিনিধি অনুপম পট্টনায়েক বলেন, এর ফলে মজুর খরচ কমবে। ড্রোনের মাধ্যমে সার হোক বা কীটনাশক - আধঘন্টা এক সঙ্গে স্প্রে করা যাবে। আর আধঘন্টাতেই তিন বিঘা জমিতে স্প্রে করতে পারবে ড্রোন। এমনকী, ড্রোন নিজেই জমির নির্দিষ্ট উচ্চতায় উঠে স্প্রে করবে। যাতে ফসলের ক্ষতি না হয়।


