পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলায় রাজ্য সড়ক ও জাতীয় সড়কের উপর দাপিয়ে বেড়ালো হাতি

পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলায় রাজ্য সড়ক ও জাতীয় সড়কের উপর দাপিয়ে বেড়ালো হাতি
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম: রবিবার ঝাড়গ্রাম ব্লকের বালিভাষা, গুপ্তমনি এলাকায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দাপিয়ে বেড়ালো দাঁতাল,স্থানীয় নাম রামলাল। ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের বন্ধ বেশ কিছুক্ষণ যানবাহন চলাচল। এমনকি রামলাল নামক ওই হাতিটি বালিভাষার টোল প্লাজায় প্রবেশ করে, যার ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন টোল প্লাজায় কর্মরত কর্মীরা। অপরদিকে মানিকপাড়ার দিক থেকে কংসাবতী নদী পেরিয়ে ২০ টি হাতি রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সদর ব্লকের পলাশী গ্রামে ঢুকে তান্ডব শুরু করে। সেই সঙ্গে ওই কুড়ি টি হাতি মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কের মাঝে পালাশি এলাকায় দাপিয়ে বেড়ানোয় প্রায় ১ ঘন্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে।
মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়িগুড়িপাল,চাঁদড়া,মনিদহ,ধেড়ুয়া,বাঘঘরা সহ বিভিন্ন গ্রামে প্রায় শতাধিক হাতি তান্ডব চালিয়ে প্রায় ১০০ বিঘার বেশি জমির ধান চাষ নষ্ট করেছে।বিশ্বকর্মা পূজোর আগে চরম দুশ্চিন্তায় এলাকার বাসিন্দারা।
রবিবার সাতসকালেই রামলাল নামক একটি হাতি ঝাড়গ্রাম ব্লকের বালিভাষা, গুপ্তমনি এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়। যার ফলে ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। রামলাল ছয় নম্বর জাতীয় সড়কে দাপিয়ে বেড়ায়, যার ফলে বেশ কিছুক্ষণ যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রামলাল কে দেখা গেল গুপ্তমনি এলাকায় ট্রাফিক কন্ট্রোল করছে। বালিভাষা টোল প্লাজায় বেশ কিছুক্ষণ দাপিয়ে বেড়ায় রামলাল। যার ফলে বালিভাষা টোলপ্লাজার কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। সেই সময় টোলপ্লাজার দুপাশে প্রচুর গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। তবে রামলাল কোন ক্ষয়ক্ষতি করেনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বন দফতরের কর্মীরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে বন দফতরের কর্মীরা রামলাল কে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে স্থানীয় জঙ্গলের দিকে পাঠানোর চেষ্টা করে। তবে যেভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে ছ নম্বর জাতীয় সড়কে রামলাল নামক একটি হাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তার ফলে এলাকা জুড়ে হাতির হামলার আশঙ্কার ছড়িয়ে পড়ে। পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায় রবিবার হাতির দাপট অব্যাহত থাকায় যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন দুজনার বাসিন্দারা শুধু মেদিনীপুর সদর ব্লকেই ১২০ টি হাতি তাণ্ডব শুরু করেছে রবিবার সকাল থেকেই যার ফলে ওই এলাকার গ্রামবাসীরা ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি আরো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন বন দপ্তরের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতির দলের গতিবিধির উপর বন দফতরের কর্মীরা নজরদারি শুরু করেছে।


