Dooars News:করম পুজোর বিসর্জনে নাচ-গানে মাতলেন আদিবাসীরা

Dooars News:করম পুজোর বিসর্জনে নাচ-গানে মাতলেন আদিবাসীরা
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদনঃ গোটা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে তরাই-ডুয়ার্সেও করম পুজোর বিসর্জন আনন্দেই সম্পন্ন হল।
আদিবাসী সম্প্রদায়ের এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ভাষাভাষী ও সম্প্রদায়ের স্থানীয় বাসিন্দারাও এদিন শামিল হলেন। ভারত ও ভুটান দুই দেশের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া তিন পাহাড়ি নদীর মিলনস্থলে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে করম পুজোর বিসর্জনের অনুষ্ঠানে মাতলেন বানারহাট, চামুর্চী এবং সংলগ্ন এলাকার করম ব্রতীরা।
মূলত চামুর্চী ও চুনাভাটি চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় রেতি, সুকৃতি ও খানাভর্তি নদীর মিলনস্থলে মঙ্গলবার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। চামুর্চীর পাশাপাশি বানারহাটের ডায়না নদী (Diana), নাগরাকাটার জলঢাকা নদী, গয়েরকাটায় আংরাভাসা, বীরপাড়ার ডিমডিমা, মুজনাই ও গ্যারগেন্ডা নদীতেও করম পুজোর বিসর্জনের নানা অনুষ্ঠান ঘিরে আদিবাসী (Tribal)সমাজে ব্যাপক উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়।
প্রসঙ্গত আদিবাসী সম্প্রদায় উর্বরতা উৎসব হিসেবে সাত দিন ধরে করমের ব্রত পালন করে থাকেন। করম ঠাকুর বৃক্ষপ্রতীকে পূজিত হন। যে বৃক্ষের প্রতীকে পূজিত হন - পশ্চিমবঙ্গে তা 'চাকলতা' গাছ হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে এই গাছটি উত্তরবঙ্গে বেশ বিরল। করম পুজোর শুরুর দিন গৃহস্থ ও পুজো কমিটির উদ্যোক্তার এই করম গাছের ডাল সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন। কুমারী কন্যা ও করম ব্রতীরা ‘জাওয়া ডালি’ তৈরি করেন। বেশকিছু শালপাতাকে বাটির আকারে সেলাই করে তাতে ভেজা বালি নিয়ে তার ওপর কিছু ভুট্টা, যব জাতীয় শস্য বপন করা হয়। এই দিন থেকে প্রতিদিন তাঁরা একবার করে এই ডালিতে হলুদ জল ছেটান। সকাল-সন্ধে জাওয়া ডালির সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে সকলে মিলে হাত ধরাধরি করে গান গাওয়ার পাশাপাশি তাঁরা নৃত্যেও মেতে ওঠেন। বীজ থেকে যে অঙ্কুরিত চারা বের হয় তাকে 'জওয়া' বলে।
বিসর্জনের শেষে আখড়াতে বিভিন্ন পুজো কমিটি ধামসা-মাদলের তালে তাদের নিজস্ব আদিবাসী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রদর্শন করেন।


