ফের মাথাচাঁড়া দিচ্ছে করোনা, শুধু কলকাতাতেই আক্রান্ত ৫৫০ জন

ফের মাথাচাঁড়া দিচ্ছে করোনা, শুধু কলকাতাতেই আক্রান্ত ৫৫০ জন
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: রাজ্যে ফের মাথাচাঁড়া দিয়েছে কোভিড সংক্রমণ। কিন্তু বুস্টার ডোজ নিতে অনীহা দেখা গিয়েছে একাংশের মানুষের মধ্যে। এই পরিস্থতিতে পুরসভা থেকে ঠিক করা হয়েছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোভিডের বুস্টার ডোজ দেবে ৬০ এর ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের। সঙ্গে ১৮ এর নীচে বয়েসীদেরও। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, পুর সভা থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাকরণ করা হবে। পাশাপাশি সকলকে কোভিড বিধি মেনে চলারও অনুরোধ করেন মেয়র।
রাজ্যে আবার মারাত্মক হারে বাড়ছে করোনা। সংক্রমণে শীর্ষে কলকাতা। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, শুধু কলকাতাতেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫০ জন।
এরপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে আক্রান্ত ৪২৯জন। রাজ্যে যখন হুহু করে বাড়ছে করোনা, তখন রাজ্যবাসীরই একাংশের মধ্যে বুস্টার ডোজ নিতে অনীহা দেখা দিচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, অনেক জায়গায় বুস্টার ডোজ পরে নষ্ট হচ্ছে। যেমন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিপুল পরিমাণ বুস্টার ডোজ ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ব্যবহার না হলে, মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাবে।
উত্তর ২৪ পরগনায় ব্যবহার না হওয়ায়, প্রায় ২ লক্ষ ডোজ বাগবাজারের স্বাস্থ্য দফতরের সেন্টার স্টোরে ফেরত্ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, যে জেলায় কম ভ্যাকসিন রয়েছে, সেখানে তা পাঠিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে স্বাস্থ্য দফতর। শুধু রাজ্য নয়, পুরসভার দাবি, কলকাতাতে দেখা যায় এই অনীহা। বেসরকারি জায়গায় গিয়ে অনেকেই ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী নন বলে দাবি করেন মেয়র। ১৮ এর নীচে ও ষাটের ঊর্ধ্বে এই বুস্টার টিকা পুরসভা থেকে বিনা মূল্যে দেওয়া হবে।
পরিসংখ্যান বলছে, বুস্টার টিকা তো দূর অস্ত, রাজ্যের ৬০ লক্ষের বেশি মানুষ এখনও করোনার দ্বিতীয় টিকাই নেননি। আর বুস্টার টিকা নিয়ে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে অনীহা তো রয়েছেই, অগ্রাধিকার পাওয়া যাটোর্ধ্বদের অনেকেই তা নিতে চাইছেন না বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত প্রথম টিকা দেওয়া হয়েছে অন্তত ৭ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষকে। তাঁদের মধ্যে ৬০ লক্ষের বেশি মানুষ এখনও দ্বিতীয় টিকা নেননি। অর্থাত্, খাতায়-কলমে এঁদের করোনা টিকার কোর্স অসম্পূর্ণই থেকে গিয়েছে। বুস্টার টিকা নেননি রাজ্যের রাজ্যের অন্তত ২৩ লক্ষ ষাটোর্ধ্ব নাগরিক। প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে করোনা সংক্রমণের আবহে বুস্টার টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের।
সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকা নিয়ে এমন অনীহা দেখে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাকরণের উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। জেলায় জেলায় দ্রুত টিকাকরণ শেষ করতে জেলা প্রশাসনগুলিকেও চিঠি পাঠানো হয়েছে। পুরসভার পাশাপাশি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাকরণ কর্মসূচি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।


