দাতা কর্ণও স্নান করেছিলেন এই পুকুরে! স্নান করে মানত করলেই হয় ইচ্ছে পূরণ

দাতা কর্ণও স্নান করেছিলেন এই পুকুরে! স্নান করে মানত করলেই হয় ইচ্ছে পূরণ
17 Apr 2023, 06:30 PM

দাতা কর্ণও স্নান করেছিলেন এই পুকুরে! স্নান করে মানত করলেই হয় ইচ্ছে পূরণ

                                    

তন্ময় চক্রবর্তী, করণদিঘী

 

উত্তর দিনাজপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী রাজবংশী সমাজের শিরুয়া মেলা। প্রতিবছরের মত পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু হয় এই মেলা। এবছরও ব্যতিক্রম হয়নি। এই মেলা দশ দিন পর্যন্ত চলে। রাজবংশী সম্প্রদায় মানুষের কাছে এই মেলার আকর্ষণ প্রবল। শুধু উত্তর দিনাজপুরই নয়, বিহার থেকেও এই মেলা দেখতে বহু মানুষ এখানে ছুটে আসে। বিহারের পূর্ণিয়ার রাজা পৃথ্বীচাঁদ লাল এই মেলার প্রথম সূচনা করেন।

কথিত আছে এই করণদিঘী বা কর্ণদিঘী একসময় অঙ্গরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এখানকার এক দিঘীতে স্নান করতেন দাতা কর্ণ। তাই এই পুকুরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে লোক বিশ্বাস ও লোক উৎসব। লোকসমাজ বিশ্বাস করে যে, এই পুকুরে  যা মানত করা হয় তাই পূরণ হয়ে থাকে। আজও বহু মানুষ বছরের প্রথম দিন এই কর্ণ রাজার পুকুরে স্নান করে পাশেই শিবমন্দিরে মনস্কামনা জানিয়ে তারপর শিরুয়া মেলায় সামিল হন। পায়রা, ডিম-সহ বিভিন্ন আনুষঙ্গিক জিনিস এখানে বলি দেওয়ার প্রথা ছিল। যদিও বর্তমানে বলি প্রথা একেবারেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পূর্বে যদিও এই শিরুয়া মেলা তিন মাস চলত।  সাধারণ মানুষ তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস এখান থেকে সংগ্রহ করত। কিন্তু মানুষের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে বর্তমানে এই মেলা এখন দশ দিন চলে। উত্তরবঙ্গের সব থেকে বড় ঐতিহ্যবাহী এই শিরুয়া মেলা। দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ এই মেলায় সামিল হন। খাবারের দোকানের পাশাপাশি কাঠের জিনিসের জন্য অত্যন্ত বিখ্যাত এই মেলা।জানা যায় একসময় পয়লা বৈশাখের 15 দিন পূর্ব থেকেই বাড়িতে বাড়িতে এই মেলার প্রস্তুতি শুরু হয়ে যেত। এই মেলায় ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত মানুষ সামিল হয় এর উৎসবে।

Mailing List