একাদশীতে ভাত না খাওয়ার রীতি কেন প্রচলিত হয়ে আসছে, জানেন?

একাদশীতে ভাত না খাওয়ার রীতি কেন প্রচলিত হয়ে আসছে, জানেন?
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: এক বছরে ২৪টি একাদশী তিথি। হিন্দুধর্মে একাদশী তিথিকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়। একাদশী তিথিতে নারায়ণের পুজো করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর পর আগেকার দিনে মহিলাদের নির্জলা উপবাস রেখে একাদশী পালন করতে হত। এখনও অনেক জায়গায় এই রীতি প্রচলিত আছে।
তবে শাস্ত্র অনুসারে একাদশী তিথি যে কেউ পালন করতে পারেন। মনে করা হয় একাদশীতে উপবাস রাখলে মন শুদ্ধ হয় এবং নিজের মন ও ইন্দ্রিয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ে। তবে একাদশীতে পুরো উপবাস না রাখতে পারলেও এদিন কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। তার মধ্যে একটি হল একাদশীতে ভাত না খাওয়া। জেনে নিন কেন একাদশীতে ভাত খেতে বারণ করা হয়-
মনে করা হয় একাদশীতে শরীরে যত অল্প জল যাবে, শরীর তত শুদ্ধ হবে। সেই কারণ একাদশীতে অনেকে নির্জলা উপবাস রাখেন। তা করা সম্ভব না হলে ভাত খেতে বারণ করা হয়। কারণ ভাতের মধ্যে জলের ভাগ বেশি। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে একাদশীতে ভাত খেলে পরের জন্মে সরীসৃপ হয়ে জন্মাতে হয়।
এই বিষয়ে একটি কিংবদন্তী প্রচলিত আছে। একবার মাতা শক্তির রাগ থেকে বাঁচতে মহর্ষি মেধা নিজের শরীর ত্যাগ করে যোগবলে মাটিতে মিশে যান। পরে তিনি ধান ও বার্লি হয়ে জন্ম নেন। এই ঘটনা একাদশী তিথিতে ঘটেছিল বলে মনে করা হয়। সেই কারণে একাদশী তিথিতে ধান ও বার্লি খেতে বারণ করা হয়ে থাকে। এদিন চাল খাওয়া মানে মহর্ষি মেধার শরীর ভক্ষণ করা। চাল ও বার্লি জন্মাতে মাটির প্রয়োজন হয় না। এগুলি জল থেকেই জন্মাতে পারে। সেই কারণে এগুলি জীবন্ত বলে মনে করা হয়। একাদশীতে বিষ্ণুর আরাধনা করতে ও নিজেকে শুদ্ধ রাখতে চাল ও বার্লি খেতে বারণ করা হয়ে থাকে।


