ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে আতা ফল কীভাবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে জানেন?

ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে আতা ফল কীভাবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে জানেন?
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যে একজন ব্যক্তি একবার এর শিকার হয়ে গেলে তা তাকে সারা জীবনের জন্য পিছু ছাড়ে না। বিশ্বের বড় বড় বিজ্ঞানীরাও ডায়াবেটিসের কোনো কঠিন প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেননি, এমন পরিস্থিতিতে রোগীদের জন্য বিরত থাকাই একমাত্র বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
ডায়াবেটিস রোগীদের সাধারণত মিষ্টি জিনিস থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়, যার মধ্যে আম এবং আনারসের মতো মিষ্টি ফলও রয়েছে। কিন্তু আতা মিষ্টি ফল হওয়া সত্ত্বেও ডায়াবেটিস রোগীদের কোনো ক্ষতি করে না। বরং আতা খেলে একসাথে ৮ টি কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন খুব সহজেই।
১. ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে তা কমানোর জন্য এটা ব্যাপক দায়ী। এটা রক্তের ব্লাডসুগার কমাতে সাহায্য করে। আতা ফলে প্রচুর পরিমানে ফাইবার আছে যা রক্তে সুগারের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
২. আতার ফলের মধ্যে বীজ থাকে। আর এই বীজ ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে। বীজের মধ্যে থাকা আন্টি ব্যাকটেরিয়াল পদার্থ ত্বকের কোষের পুনঃবৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফলে ক্ষতস্থান তাড়াতাড়ি ঠিক হয়।
৩. আতা ফলে ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন বি-৬ থাকে। যা কার্ডিয়াক সমস্যা প্রতিরোধ করে সাথে হোমকিস্টাইন নিয়ন্ত্রণ করে।
৪. আতা ফল খেলে গর্ভপাতের আশঙ্কা অনেক কমে যায়। সাথে দুর্বলতা কমিয়ে শারীরিক ব্যাথায় আরাম দেয় আতা।৫. হাঁ জল রোগের ক্ষেত্রে আতা ফলের রস খাওয়া উচিত। এতে উপস্থিত ভিটামিন বি-৬ হাঁ জল প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৬. আতা ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমানে ফাইবার রয়েছে। তাই ডায়েটারি ফাইবার হিসাবে ব্যবহৃত হয় আতা। অনেকে আতা ফলের গুঁড়ো জলের সাথে খান ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে।৭. আতা গাছের শুধু ফল নয়, পাতায় ঔষধি গুণ সম্পন্ন। পাতার নির্যাস স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। আতা আন্টি অক্সিডেন্টে পরিপূর্ন থাকে ফলে ইটা শরীরের কোষে থাকা বিষাক্ত টক্সিক পদার্থ দূর করে।
৮. অনেক সময় দাঁত পরিষ্কার রাখতেও আতা ফলের ব্যবহার করা হয়। আতা ফলের চামড়া দাঁতের ক্ষয় রোধে সক্ষম।


