আপনারও কি ঘন ঘন মুড সুইং হয়? জেনে নিন ভালো না খারাপ

আপনারও কি ঘন ঘন মুড সুইং হয়? জেনে নিন ভালো না খারাপ
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদনঃ ঘুম থেকে উঠেই মন আজ খুব ভাল ছিল। অথচ দু’ঘণ্টা পর হয়ে গেল মন খারাপ। তার কিন্তু কোনও কারণ আপনি খুঁজে পেলেন না। আবার হঠাৎই রেগে গেলেন। এরকম কি হয় আপনার? মুড সুইং-এর মতো সমস্যা আপনারও আছে। কেনই বা হয় মেজাজ পরিবর্তন?
মুড সুইং কী?
যাঁদের খুব দ্রুত মুড সুইং(mood swing) হয় সেইসময় তাঁদের মস্তিষ্ক খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং সমস্যার সমাধান বা কোনও ভবিষ্যৎ প্ল্যানিং করে ফেলতে পারে। তবে দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হল এটা সবার ক্ষেত্রে হয় না। বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই বারবার মেজাজ পরিবর্তন হওয়া খুব ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়েছে। গোড়ার দিকেই মুড সুইংয়ের সমস্যার সমাধান না করতে পারলে সেটা বাইপোলার ডিসঅর্ডার(bipolar disorder) বা দ্বৈত স্বত্ত্বার মতো জটিল ও গভীর মানসিক রোগে পরিণত হয়।
কী কী কারণে হতে পারে মুড সুইং?
আমাদের মস্তিষ্কে কয়েকটি নিউরোট্রান্সমিটার আছে। হরমোন ক্ষরণও হয়। হরমোনের মধ্যে সেরোটোনিন ও নরপাইনফ্রাইন হলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমটি আমাদের ঘুমের ধরণ, নানা রকমের মানসিক স্থিতি ও আবেগের ওঠাপড়ার সঙ্গে জড়িত। আর দ্বিতীয়টির সম্পর্ক আছে স্মৃতি, কোনও কিছু শেখার দক্ষতা ও শারীরিক চাহিদার সঙ্গে। এই হরমোনের তারতম্যের কারণে মুড সুইং হতে পারে।
অন্য কারণ থাকতে পারে
মানসিক চাপ, অ্যাংজাইটি, অবসাদ বা ডিপ্রেশন, মদ্যপান, ঘুমের অভাব, বাইপোলার ডিসঅর্ডার বা দ্বৈত সত্ত্বা, প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম, কাজের চাপ।
কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন?
স্কিনকেয়ারের সময়টা পুরোপুরি আপনি নিজের জন্য ব্যয় করবেন। ঘরে যা আছে তা দিয়েই নিজের যত্ন নেওয়া শুরু করুন। এতে শুধু যে খুব আরাম পাবেন তা নয় সেই সঙ্গে আপনার মুড সুইংকে কমাতেও সাহায্য করবে।
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, স্কিনকেয়ার রুটিন আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে এবং সেই সাথে সুখও বাড়াবে।
ল্যাভেন্ডার অয়েল এমন একটি জিনিস যা আপনার মন মেজাজ মুহূর্তের মধ্যে ফুরফুরে করে দিতে পারে। জার্নাল অফ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন অফ থাইল্যান্ডে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ল্যাভেন্ডার তেলের ঘ্রাণ নেওয়ার ফলে কাজের চাপ কমেছে এবং শিথিলতা এসেছে স্নায়ুতে। ফলে মুড সুইং এর ক্ষেত্রে ম্যাজিকাল ভূমিকা পালন করে ল্যাভেন্ডার অয়েল।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে স্ক্রিবলিং হতাশা, উদ্বেগ এবং চাপ কমাতে উল্লেখযোগ্যভাবে সাহায্য করতে পারে। সুতরাং, যদি আপনার মেজাজ কিছুক্ষণ পরপর পরিবর্তন হয় সেক্ষেত্রে কাগজের টুকরো নিয়ে যা ইচ্ছে তাই লিখতে থাকুন। কাটাকুটি করুন, আঁকুন। যেটা মন চায় সেটা করুন।
হাঁটা যেমন শরীরের জন্য ভালো তেমনি মনের জন্যও। হাটলে আত্ম-অনুশীলন হয় যা আত্মমর্যাদা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া মন মেজাজ ভালো থাকবে এবং সেই সঙ্গে ভালো ঘুম হবে।
ভিজুয়ালাইজেশন কৌশলগুলো অনুসরণ করলে মন মেজাজের উপর ভালোরকম প্রভাব পড়বে। আপনি যখন সব ইতিবাচক জিনিস দেখবেন তখন আপনার মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। সেই সঙ্গে আপনার মনে আশা জাগাবে।
আপনি যদি বাথরুম সিংগার হয়ে থাকেন তাহলে তো খুব ভালো আর যদি নাও হয়ে থাকেন তাহলে গান গাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। গানের কথা, সুর, তাল, লয় নিয়ে আপনার এত চিন্তা করার দরকার নেই। আপনার নিজের মনে যা আসবে আপনি তাই নিয়ে গান গাইবেন।
প্রয়োজনীয় টিপস-
- পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন
- পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া প্রয়োজন
- সঠিক ডায়েট মেনে চলা
- স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন মেনে চলা
- নিয়মিত ব্যায়াম করা
কোনও বিশেষ অসুবিধা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে আপনাকে। এতে খুব দ্রুতই সুস্থ হয়ে যাবেন।


