আরও বাড়ল করোনার সংক্রমণ, বছরের প্রথম দিনেই রাজ্যে করোনা আক্রান্ত সাড়ে চার হাজার

আরও বাড়ল করোনার সংক্রমণ, বছরের প্রথম দিনেই রাজ্যে করোনা আক্রান্ত সাড়ে চার হাজার
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন : গত বছরের শেষ দিনে সংখ্যাটা ছিল সাড়ে ৩ হাজার।
আর, নতুন বছরের প্রথম দিনেই এই সংখ্যা হল সাড়ে ৪ হাজার।
রাজ্যে একদিনেই নতুন করে করোনা আক্রান্ত হলেন ৪ হাজার ৫১২ জন।
গত চার দিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা।
এক হাজার, দুহাজার, সাড়ে ৩ হাজার এবং এদিন সাড়ে ৪ হাজার।
রাজ্যে যে ভাবে এই করোনার সংক্রমণ বাড়ছে তাতে উদ্বিগ্ন সকলেই।
এদিনই রাজ্যে স্থগিত করা হয়েছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। বাতিল করা হয়েছে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার কর্মসূচিও। কাল রবিবার, থেকেই রাজ্যে দুয়ারে সরকার শুরু করার কথা ছিল।
এদিকে বড়দিনের দিনেই যেভাবে রাস্তায় মানুষ ভিড় করেছিলেন তাতেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞরা। তার পরে নতুন বছরের প্রথম দিনে এবং বর্ষশেষের দিনে দিঘা, কলকাতা সহ নানা জায়গায় উপচে পড়া ভিড়ে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। ফলে এই সংক্রমণ আরও বাড়বে বলেও মনে করছেন চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে সোমবার থেকেই রাজ্য সরকার কড়া বিধিনিষেধ জারি করতে চলেছে। সব কিছু বন্ধ করা না হলেও আংশিক লকডাউনের পথেই যাচ্ছে রাজ্য বলেও জানা গিয়েছে।
এদিনই করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
এদিন জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫১২ জন । এই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ১৯১৩ জন। মারা গিয়েছেন ৯ জন। এই নিয়ে রাজ্যে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন মোট ১৯ হাজার ৭৭৩ জন।
রাজ্যে এখন সক্রিয় করোনা আক্রান্ত ১৩ হাজার জন। এই সংখ্যা আগের দিনে চেয়ে ২৫৯০ বেশি।
সেই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে পজিটিভিটি হার। আগের দিনে এই হার ছিল প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশ। এদিন তা বেড়ে হয়েছে ১২.০২% ।
যে ৭ জন মারা গিয়েছেন তাদের মধ্যে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলাতে ২ জন করে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মারা গিয়েছেন ১ জন।
নতুন করে আক্রান্ত সাড়ে ৪ হাজার জনের মধ্যে ২৩৯৮ জনই কলকাতার। এই সঙ্গেই উত্তর ২৪ পরগনায় ৬৮৮ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৯৮ জন, হাওড়ায় ৩৪৪ জন, হুগলিতে ১৬৫, পশ্চিম বর্ধমানে ২৪১, পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৫৩ জন, দার্জিলিং জেলায় ২৮, মালদায় ৩৪, নদিয়াতে ৭৫ , বীরভূমে ৯৮ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ৩১ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন।



