আইএসএফের কর্মসূচি ঘিরে উত্তপ্ত হতে পারে শহর, সতর্ক প্রশাসন

আইএসএফের কর্মসূচি ঘিরে উত্তপ্ত হতে পারে শহর, সতর্ক প্রশাসন
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: গত শনিবার আইএসএফ কর্মী, সমর্থকদের তাণ্ডবের সাক্ষী ছিল শহর কলকাতা। তারপর বুধবার ফের শহরে মিছিলের ডাক দিয়েছে আইএসএফ। দলের নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ও অন্যান্য কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আজকের মিছিল। যদিও মিছিল করার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। কিন্তু কর্মসূচিতে অনড় আইএসএফ নেতারা। তাই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলেই আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
আইএসএফ কর্মীরা অবশ্য ঘনিষ্ঠমহলে বলছেন, শনিবার ছিল ট্রেলার, আজ দেখা যাবে পুরো ছবি। তাই বাড়তি সতর্ক প্রশাসন। এর ওপর বৃহস্পতিবার রয়েছে সরস্বতী পুজো। ওই দিনই আবার প্রজাতন্ত্র দিবস। সরস্বতী পুজোর আগের দিন ব্যস্ততার ছবি দেখা যায় শহরের বাজারে। কেনাকাটা থাকে। তার ওপর রয়েছে ছাব্বিশে জানুয়ারি মহড়া। তার জন্য যান চলাচলে কিছু বিধিনিষেধ এমনিতেই থাকে। সঙ্গে জুড়েছে আইএসএফের কর্মসূচি। সব মিলিয়ে বেলার দিকে মধ্য কলকাতায় অচলাবস্থা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে পুরোদমে।তাতেই যেন ঘুম উড়েছে পুলিশ-প্রশাসনের। অন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে বুধবার মিছিল-মিটিং থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে পুলিশের তরফে। বুধবার মিছিলের অনুমতি না পেলেও যাঁরা এই মিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা কিন্তু কর্মসূচি থেকে পিছু হঠতে নারাজ। মিছিল হচ্ছেই, সাফ জানিয়ে দিয়েছে নওশাদ শিবির।
কিন্তু অনুমতি ছাড়া মিছিল কী করে হবে, এ বিষয়ে লালবাজারের তরফে সরাসরি কোনও উত্তর মেলেনি। সূত্রের খবর, আইএসএফের সঙ্গেই বুধবারের মিছিলে পা মেলাতে চলেছে নাগরিক সমাজের একাংশও। বুধবার দুপুরে শহরের নানা প্রান্ত থেকে মিছিল আসার কথা রয়েছে শিয়ালদহে। জেলা থেকেও আইএসএফ কর্মীদের জমায়েত করা হচ্ছে শিয়ালদহে। মঙ্গলবার রাত থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে তার প্রস্তুতি। শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে বিগ বাজারের সামনে হবে মূল জমায়েত। সেখান থেকে মিছিল এগোবে ধর্মতলার দিকে। পুলিশ বাধা দিলে কী কৌশল নেওয়া হবে তাও তৈরি হচ্ছে। সবমিলিয়ে শহর অচল করার চেষ্টা হবে আশঙ্কা পুলিশের।


