পাক মাটিতে সেনাঘাঁটি তৈরি করতে চায় চিন! চাপে ইসলামাবাদ

পাক মাটিতে সেনাঘাঁটি তৈরি করতে চায় চিন! চাপে ইসলামাবাদ
আনফোল্ড বাংলা ডেস্ক: পাকিস্তানের মাটিতে লালফৌজের ঘাঁটি তৈরি করতে চায় বেজিং। চিনের এমন আবদারে চাপে পড়েছে ইসলামাবাদ। এই আবদারের সমর্থনে এক আজব যুক্তি খাড়ায় করেছে বেজিং। তাঁদের যুক্তি, করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার পর পাকিস্তানে কর্মরত চিনা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে তারা চিন্তিত। তাঁদের নিরাপত্তার খাতিরে এখন পাক মাটিতে লালফৌজের প্রয়োজন রয়েছে। চিনের এই আবদারে সবচেয়ে বেকায়দায় পড়েছে পাকিস্তানের শাহবাজ সরকার।
‘বন্ধু’ চিনের এই দাবির পর তারা কী করবে বুঝতে পারছে না। কারণ, চিনকে দেশের মাটিতে সেনাঘাঁটি তৈরি করার অনুমতি দিলে প্রতিবেশী ভারত, আমেরিকার মতো দেশগুলো তা ভালো চোখে দেখবে না। বিমুখ হতে পারে পশ্চিমী দেশগুলিও। ফলে আরও চাপের মুখে পড়তে হবে ইসলামাবাদকে। গত ২৬ এপ্রিল করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর আত্মঘাতী বিস্ফোরণে চারজনের মৃত্যু হয়। তার মধ্যে দুজন চিনা নাগরিকও ছিল। এই ঘটনাকে ঢাল করে এবার পাকিস্তানে পাকাপাকি ভাবে ঘাঁটি গাড়তে চায় বেজিং।
হামলার পরই চিনা বিদেশমন্ত্রক অত্যন্ত কড়া ভাষায় এই ঘটনার নিন্দা করে। সেই থেকে পাকিস্তানে কর্মরত চিনা নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে বেজিং। তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, এর বিনিময়ে চিন তাঁদের ঋণ মকুবের মতো কিছু অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা দেওয়ার টোপ ফেলেছে। এখন ইসলামাবাদ এই টোপ গিলবে কিনা সেটাই দেখার। এ প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভালো যে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্পে হাজার হাজার চিনা কর্মী এই মুহূর্তে পাকিস্তানের করাচি, বালুচিস্তান, গিলগিট প্রদেশে কাজ করছেন। এবার তাদের নিরাপত্তাকে অজুহাত বানিয়ে পাকিস্তানে সেনাঘাঁটি তৈরির তোড়জোড় শুরু করতে চায় শি জিনপিং- এর সরকার।



