চন্দ্রযান-৩: চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ সফল হবেই আশায় ইসরো

চন্দ্রযান-৩: চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ সফল হবেই আশায় ইসরো
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের পর এবার বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে চাঁদের পৃষ্ঠে মহাকাশযান অবতরণের প্রচেষ্টায় সফল হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছে ভারত। এমনই জানিয়েছেন ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো জানিয়েছে, সব কিছু সমস্যার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত চন্দ্রযান-৩। এদিন এক আলাপচারিতায় ইসরো প্রধান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রমকে এমনভাবেই তৈরি করা হয়েছে যে সমস্ত সেন্সর-সহ দু’টি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেলেও ২৩ আগস্ট ল্যান্ডার বিক্রম অবতরণ করতে সক্ষম হবে। তাঁর দাবি, ‘‘যদি সব কিছু ব্যর্থ হয়, সমস্ত সেন্সর অকেজো হয়ে পড়ে, কোনও কিছুই কাজ না করে, তাহলেও বিক্রম চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করতে সম্ভব হবে। এভাবেই নকশা করা হয়েছে। তবে শর্ত একটাই, প্রোপালশন সিস্টেম ঠিকঠাক কাজ করতে হবে।’’
অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারের ‘লঞ্চিং প্যাড’ থেকে ১৪ জুলাই চন্দ্রযান-৩-এর সফল উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। চাঁদের মাটিতে নামার জন্য চন্দ্রযান-৩-কে কয়েকটি ধাপ পার করতে হবে। ইসরোর প্রধান জানিয়েছেন, ‘‘চাঁদের কাছাকাছি পৌঁছনোর জন্য চলতি মাসের ১, ১৪ ও ১৬ তারিখ প্রচেষ্টা করা হবে। যাতে মহাকাশযানটি চাঁদের কক্ষপথে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিমিX১০০ কিমি দূরে থাকে। পাশাপাশি ২৩ আগস্ট চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের আগে মহাকাশযানটির গতি কমানোর কাজ শুরু হবে।’’ ইসরো প্রধানের মতে, ‘‘সঠিক সময়ে বিক্রমের দু’টি ইঞ্জিন কাজ বন্ধ করে দিলেও যাতে সেটি চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করতে সক্ষম হয়, তা-ও নিশ্চিত করতে পেরেছি আমরা।’’ কিনি আরও জানিয়েছেন যে, চন্দ্রপৃষ্ঠে উলম্বভাবে বিক্রমকে ল্যান্ড করানোটাই তাঁদের কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ। কারণ, চারবছর আগে চন্দ্রযান-২ এই পর্যায়ে এসে ব্যর্থ হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘গতবার আমাদের প্রচুর সমস্যা হয়েছিল। এবার যাতে তেমনকিছু না ঘটে সেদিকে নজর দিতে হবে।’’ ইসরো আরও জানিয়েছে, চন্দ্রযান-৩-এর পরবর্তী কক্ষপথ পরিবর্তন করানো হবে আগামী ১৪ আগস্ট। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার কথা চন্দ্রযান-৩-এর। এই অভিযান সফল হলে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ হবে।


