বর্ষবরণে উল্লাস ও মদ্যপান বন্ধ ঢাকায়, ঢুকতে পারবে না বহিরাগতরাও, নির্দেশ পুলিশের

বর্ষবরণে উল্লাস ও মদ্যপান বন্ধ ঢাকায়, ঢুকতে পারবে না বহিরাগতরাও, নির্দেশ পুলিশের
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: বর্ষবরণ মানে মদ্যপান করে উল্লাস? নৈব নৈব চ। তাহলেই বিপাকে পড়তে হবে। গ্রেফতারও করতে পারে পুলিশ। তাই আজ শনিবার সন্ধে ৬টার পর থেকে সমস্ত বার বন্ধের নির্দেশ দিল পুলিশ। বার বন্ধ থাকবে ১ জানুয়ারি সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। সাংবাদিক বৈঠক ডেকে একথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
কী কী করা যাবে না? ঢাকা পুলিশ জানিয়েছে, বার বন্ধ থাকবে। ওড়ানো যাবে না কোনো ফানুসও। ডিজে পার্টি করা যাবে না। আতসবাজি পোড়ানো যাবে না। রাস্তার মোড়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করা যাবে না। দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না। হোটেল, রেস্তোরাঁ থেকে জনসমাগম হয় এমন এলাকায় কেউ লাইসেন্স বন্দুকও নিয়ে যেতে বা রাখতে পারবে না।
গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকায় ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার পর বহিরাগতদেরও ঢোকা নিষেধ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্ধারিত স্টিকার দেখালে শাহবাগ ও নীলক্ষেত ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের যাঁরা বাইরে আছেন, তাঁরা ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ৫টা পর্যন্ত হাইকোর্ট, দোয়েল চত্বর, পলাশী মোড়টি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে ওই সব এলাকায় প্রবেশের সব ক্রসিং বন্ধ থাকবে।
তা দেখার জন্য সাদা পোশাকের পুলিশও ঘুরে বেড়াবে রাস্তায়। থাকবে একাধিক জায়গায় পুলিশ চেকপোস্ট। চলবে পুলিশের টহলও। রয়েছে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯। কোথাও নিয়ম ভাঙার কিছু দেখলে তাতে ফোন করা যাবে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পদক্ষেপ করবে। পুলিশ জানিয়েছে, যাতে কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সন্ত্রাসীরা উৎসবের সূযোগ নিয়ে যাতে অঘটন ঘটতে না পারে, সে জন্যই এই পদক্ষেপ।


