বিপাকে বিরোধী দলনেতা, সারদা কর্তার ব্ল্যাক মেলিংয়ের অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই, নির্দেশ হাইকোর্টের

বিপাকে বিরোধী দলনেতা, সারদা কর্তার ব্ল্যাক মেলিংয়ের অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই, নির্দেশ হাইকোর্টের
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: বড়সড় বিপাকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Opposition leader) । আদালতের নির্দেশে চাপে পড়ল কাঁথির অধিকারী পরিবার। কাঁথি পুরসভায় অ্যাকাউন্টে সারদার টাকা ঢুকেছিল কিনা এবার তার তদন্ত করবে সিবিআই (CBI), বুধবার এমনই নির্দেশ দিল আদালত। এর আগে জেলবন্দি সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন (Sudipta sen) চিঠি দিয়ে আদালতে অভিযোগ করেন, তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে ড্রাফটে ৫০ লক্ষ টাকা ও নগদে বিপুল পরিমান টাকা নিয়েছিল কাঁথি পুরসভা। সেই চিঠি নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়ে আবেদন করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (kunal ghosh) আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী। সেই আবেদনের ভিত্তিতে বুধবার এমনই নির্দেশ দিলেন সিএমএম আদালতের বিচারক। আদালতের এই নির্দেশের পর নিঃসন্দেহে বিপদ বাড়ল কাঁথির অধিকারী পরিবারের।
সারদা (sarada) কর্তা চিঠিতে অভিযোগ করেছিলেন, কাঁথির একটি বহুতল নির্মাণের জন্য তাঁর কাছ থেকে পুরসভা বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়েছিল। অভিযোগ, একটি বহুতলের প্ল্যান অনুমোদনের জন্য ড্রাফটে ওই ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আইন বলছে, সাধারণ ভাবে জি প্লাস ফোর-এর বেশি প্ল্যান অনুমোদন করার এক্তিয়ার পুরসভার নেই। প্রস্তাবিত যে বহুতলের প্ল্যান অনুমোদনের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল তা ছিল ২২ তলার। এছাড়াও জমি কেনার জন্য বহু টাকা নগদে নেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে প্ল্যান অনুমোদনের অজুহাতে বিপুল অঙ্কের টাকা নগদে নেওয়া হয়েছিল। এভাবেই প্রতারণা করা হয়েছিল সারদা কর্তাকে। এর তদন্ত চেয়েই চিঠি দেন সারদা কর্তা। এখন সত্যিই সারদার টাকা কাঁথি পুরসভার অ্যাকাউন্টে গিয়েছে কিনা তাঁর তদন্ত করবে সিবিআই। এই নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, যদি কুন্তুল ঘোষের চিঠির ভিত্তিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করা হতে পারে তাহলে সারদা কর্তার চিঠির ভিত্তিতে শুভেন্দুকে কেন ডাকা হবে না।


