২৪-এর লোকসভা ভোটের আগেই চালু হবে সিএএ, আশার বাণী বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের

২৪-এর লোকসভা ভোটের আগেই চালু হবে সিএএ, আশার বাণী বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগেই এ রাজ্য সিএএ চালু হয়ে যাবে। সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ফের মতুয়া সমাজকে আশার বাণী শোনালেন বিজেপি সাংসদ ও বনগাঁর ঠাকুর পরিবারের অন্যতম সদস্য শান্তনু ঠাকুর। সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআর নিয়ে অতিমারির আগে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। এ রাজ্যেও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। তারপর সংসদে সিএএ পাশ হলেও পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে সিএএ থেকে কিছুটা সরে এসেছে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার। এখন কার্যত হিমঘরে চলে গিয়েছে সিএএ, এনআরসি নিয়ে চর্চা।এনআরসি নিয়ে আর তেমন উল্লেখ না করলেও এ রাজ্যের বিজেপি নেতারা মাঝে মধ্যে সিএএ চালু করা নিয়ে সরব হন। কিন্তু খোদ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এ নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্যা আর শোনা যায় না।
রবিবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের গলায় ফের উঠে এল সেই সিএএ ইস্যু। তাঁর আশা, নাগরিকত্ব প্রদানের এই আইন ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগেই চালু হয়ে যাবে। রবিবার বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের গাইঘাটায় তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে বিজেপি। ওই বাইক মিছিলের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় জাহাজ চলাচল মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। মিছিলের শেষে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি নিয়ে সরব হন শান্তনু। বলেন, রাজ্য সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে আজকের এই মিছিল। মানুষকে উজ্জীবিত করার জন্য এই মিছিল। পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েতগুলি দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে। মানুষ দুর্নীতি চায় না, স্বচ্ছ ভারত চায়। এরপরই সিএএ প্রসঙ্গে শান্তনু বলেন, সিএএ একটি জটিল অবস্থায় আছে। সুপ্রিম কোর্টে আটকে আছে। আদালত রায় না দিলে সরকার এটা করতে পারবে না। আশা করছি ২০২৪ সালের মধ্যে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। সিএএ চালু হয়ে যাবে। এখন এই আশ্বাসে চিড়ে কতটা ভিজবে সেটাই দেখার।


