বাজেট ২০২২-২৩: ভালোমন্দের তত্ত্বতালাশ

বাজেট ২০২২-২৩: ভালোমন্দের তত্ত্বতালাশ
04 Feb 2022, 10:45 AM

বাজেট ২০২২-২৩: ভালোমন্দের তত্ত্বতালাশ

ড. গৌতম সরকার

 

  

অর্থনীতিতে একটা প্রবৃদ্ধ তর্ক রয়েছে। সেটি হল- সমস্যার চটজলদি সমাধান না দীর্ঘমেয়াদি নিরাময়? দীর্ঘকাল ধরে চলতে থাকা এই বিতর্কের একটা আপাত সমাধান আছে, অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা। যেমন করোনাক্রান্ত মুখ থুবড়ে পড়া ভারতীয় অর্থনীতিকে বাঁচাতে গেলে আশু সমাধানসূত্র প্রয়োগ খুব জরুরি। সেই বিশ্বাসে অর্থনীতিবিদ থেকে আমজনতার এই বাজেট থেকে অনেক প্রত্যাশা ছিল, কিন্তু তাঁরা সোজাসুজিভাবে নিরাশ হয়েছেন। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার হেঁটেছেন একদম উল্টোপথে। অর্থনীতিবিদদের দেখানো পথে না হেঁটে এই বাজেটে আগামী পঁচিশ বছরের এক দীর্ঘমেয়াদি সমাধান প্রকল্পের নকশিকাঁথা বোনা হয়েছে, সেই সময়কালের এক কাব্যিক নামও দেওয়া হয়েছে, 'অমৃতকাল'। বিরোধী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের ধন্দ, সেই অমৃত ফলের স্বাদ আস্বাদনের জন্য অতদিন কি আদৌ বেঁচে থাকবো?

 

  

সমস্যাটা শুধু এই বৃত্তের মধ্যে সংক্ষিপ্ত থাকলে বিপদটা অত ভয়ানক হত না। কারণ, সেই সুদূর ১৯৪৭ সালের ২৬ নভেম্বর, স্বাধীন ভারতের প্রথম বাজেট থেকে শুরু করে ২০২২ পর্যন্ত কোনও বাজেটই দেশের আপামর জনগণকে খুশি করতে পারেনি, আর সম্ভবত কখনও পারবেও না। কিন্তু মূল সমস্যা হল অন্যদিকে। এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান সমস্যা হল, কোভিড-১৯ এবং তার থেকে উদ্ভূত বেকারত্ম, কার্যকরী চাহিদা হ্রাস এবং মুদ্রাস্ফীতি। এগুলো সমাধানের জন্য দরকার ছিল অর্থমন্ত্রীর আশু সমাধান পরিকল্পনা, যেটি চটজলদি বেকারত্ম কমিয়ে অর্থাৎ কাজের যোগান বাড়িয়ে চাহিদার বৃদ্ধি ঘটিয়ে অর্থনীতিকে আর্থিক মন্দা পরিস্থিতির বাইরে বের করে আনতে সক্ষম হত। সেটা না করে, অর্থমন্ত্রী কি করলেন? তিনি আগামী পাঁচ-দশ-পনের-কুড়ি-পঁচিশ বছরে লক্ষ লক্ষ চাকরি সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি দিলেন। কিন্তু বাস্তবটা দেখলে প্রখর আলোয় যেটা প্রথমেই চোখে পড়বে সেটি হল, বেকাররা কাল থেকেই কাজে লেগে পড়তে চাইছে। যেমন-তেমন একটা কাজ পেলেই তারা বর্তে যায়। তাদের শিক্ষা, অভিজ্ঞতা, পছন্দ সবকিছু বিসর্জন দিয়ে কিছু একটা করে নিজেকে এবং পরিবারের মানুষগুলোকে বাঁচানোই এই মুহূর্তে তাদের মূলমন্ত্র। নজরটা যদি একটু ‘১০০ দিনের কাজ’ প্রকল্পের দিকে ফেরানো যায় তাহলেই করুণ চিত্রটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের পর সারা দেশে প্রায় দেড় কোটি মানুষ নতুন করে ১০০ দিনের জব কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন। দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর আবেদনকারীর সংখ্যা আরও কয়েক কোটি বেড়েছে। এছাড়া এই বাজেটে গরিব মানুষের হাতে অর্থসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া জরুরি ছিল। এই বাজেটে সে ধরণের কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। উল্টে এমন দুটো প্রকল্পে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে যেগুলোর সাথে গরিব ও প্রান্তিক মানুষের রুটি-রুজি প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। প্রকল্প দুটি হল, মতাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীন কর্মসংস্থান প্রকল্প (১০০ দিনের কাজ) আর জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনের গণবন্টন ব্যবস্থা। প্রথম প্রকল্পে গত বছরের ৯৭,০৩৪ কোটি টাকা থেকে বরাদ্দ কমে হয়েছে ৭২,০৩৪ কোটি টাকা; আর দ্বিতীয় প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থ ২,৪২,০০০ কোটি থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২,০৬,০০০ কোটি টাকা। খুব স্বাভাবিকভাবে যে প্রশ্নটি চলে আসে সেটি হল, দেশের সরকার কি ভাবছে আমরা কোভিড অতিমারি কাটিয়ে বেরিয়ে এসেছি, এবং তার সঙ্গে জড়িত মন্দা, আয় হ্রাস, বেকারত্ম? তানাহলে কর্মসংস্থান বিকাশ খাতে বাজেট গতবছরের ৩,৪৮২ কোটি টাকা থেকে কমে ২,৬৮৮ টাকা হল কেন? চিন্তাভাবনা এরকম হলে কিন্তু সামনে মহা বিপদ! কোভিড আমাদের ছেড়ে যায়নি। তৃতীয় ঢেউয়ে এখনও দেশে দৈনিক সংক্রমণের পরিমান প্রায় দুই লক্ষ। এই বিপদের বার্তাটা পরিষ্কার করতেই এত শব্দ ও বাক্যের অপব্যয় ঘটাতে হল।

   

একটি দেশের অর্থনীতি নির্ভর করে মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের উপর আর দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন অবশ্যই যুবসমাজের উপর নির্ভরশীল। ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামকৃত 'গ্লোবাল রিস্কস রিপোর্ট'-এ বলা হয়েছে 'ভারতীয় অর্থনীতির সবচেয়ে বড় বিপদ হল তরুণ প্রজন্মের আশাহীনতা'। বিপদের কথা, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেটে তরুণ প্রজন্মকে আরেকবার আশাভঙ্গের স্রোতে ভাসান দেওয়া হল। আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হল করোনা অতিমারি যে সমস্ত শিল্পের শিরদাঁড়া ভেঙে দিয়েছে, যেমন-ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, আতিথেয়তা শিল্প ইত্যাদি, এই বাজেট তাদের সোজা হয়ে দাঁড়ানোর কোনও পথের সন্ধান দিতে পারেনি।

    

এছাড়া এই বাজেটে কিছু কিছু জায়গায় মায়া কাজলের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে, যেগুলো আপাতভাবে ঠিকঠাক লাগলেও ভিতরে প্রচুর গলদ লুকিয়ে আছে। এই প্রসঙ্গে কয়েকটি ব্যাপার তুলে ধরা যাক।

 

এক, কৃষিক্ষেত্র: গত কয়েকমাস ধরে কৃষি বিল নিয়ে উত্তাল হয়েছে সারা দেশ। কৃষকদের উচ্চাশা ছিল এই বছরের বাজেট হবে কৃষিকেন্দ্রিক, অর্থাৎ দেশের কৃষি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে এবং প্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহার ঘটিয়ে কৃষিকে একটি লাভজনক পেশায় পরিণত করতে সরকার বিভিন্ন ভাবে প্রয়োগ ঘটাবেন। কিন্তু হা হতোস্মি! কৃষি যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গেল, নয়া বাজেটে তার কোনো প্রমোশন হলোনা। হিসেবে দেখা যাচ্ছে বাজেটে কৃষিতে বরাদ্দ অর্থ দুই শতাংশও বাড়েনি। এখানে সুচতুরভাবে মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টি উহ্য রাখা হচ্ছে। খাতায় কলমে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধিকে হিসেবের মধ্যে ধরলে প্রকৃত বরাদ্দ কিন্তু কমে যাবে।

 

দুই, শিক্ষাক্ষেত্র: বরাদ্দ বেড়েছে এগারো শতাংশ। মূল্যবৃদ্ধির কথা মাথায় রাখলে এই বৃদ্ধি অতি সামান্য। কিন্তু চলতি অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থাকে গতি দিতে এই ক্ষেত্রে অনেক বেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন ছিল।

 

তিন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্র: এই ক্ষেত্রেও বরাদ্দ বৃদ্ধি ঘটেছে প্রায় ১৬ শতাংশ। এই ক্ষেত্রের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এই বরাদ্দকৃত অর্থে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ব্যাপক কোনও উন্নয়ন হওয়া সম্ভব নয়।

    

এবার ছুয়েঁ আসা যাক বাজেটের মূল প্রতিপাদ্যে।

 

এক, চলতি বছরে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি ধার্য করা হয়েছে ৯.২ শতাংশ। কিন্তু মজার কথা হল, কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৯-২০ অর্থবর্ষকে কোভিড পূর্ববর্তী আর্থিক অবস্থার মাপকাঠি ধরেছেন, যেবছর স্থূল জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছিল মাত্র ৩.৭ শতাংশ। এখন এইরকম এই রুগ্ন বছরকে ভিত্তিবছর ধরে তার পরিপ্রেক্ষিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলে, সেই মাপকাঠির গোড়ায় গলদ থাকবে, বলাই বাহুল্য।

 

দুই, ব্যক্তিগত আয়কর কাঠামোয় কোনও বদল নেই। আয়কর রিটার্নে সংশোধনের সুযোগ এখন থেকে দুবছর পর্যন্ত পাওয়া যাবে। কর্পোরেট ট্যাক্স ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে এবং ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে জমানো টাকার কর ছাড়ের সীমা ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৪ শতাংশ করা হয়েছে।

 

তিন, যে কোনও দীর্ঘমেয়াদি মূলধনের লাভ স্থানান্তরের উপর সারচার্জ ১৫ শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে।

 

চার, ২০২২-২৩ সালের মধ্যে ন্যাশনাল হাইওয়ে ২৫,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হবে। ন্যাশনাল রোপওয়ে ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় পাহাড়ি এলাকায় যাতায়াত সুগম করা হবে। পিএম গতিশক্তি মাস্টার প্ল্যানের অন্তর্ভুক্ত রেলওয়ে, বিমানবন্দর, বন্দর, গণপরিবহন এবং জলপথে পরিবহনের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।

 

পাঁচ, আগামী তিনবছরে ভারতে ৪০০টি শক্তিশালী এবং দক্ষ 'বন্দে ভারত' ট্রেন তৈরি হবে।

 

ছয়, বুকিং এবং কো-অর্ডিনেশনের জন্য প্রাকৃতিক গ্যাস ট্রান্সমিশন সেক্টরে একটি স্বাধীন সিস্টেম অপারেটর স্থাপন করা হবে।

 

সাত, আরও ১ কোটি পরিবারকে 'উজ্জ্বলা প্রকল্পের' সুবিধা দেওয়া হবে। এই প্রকল্পের অধীন পরিবারগুলিকে রান্নার জ্বালানি গ্যাস সরবরাহ করা হয়।

 

আট, তৈরি হবে ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি। উচ্চমানের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির ব্যবহারে ঘরে বসে ইচ্ছুক পড়ুয়ারা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে।

 

নয়, কৃষির আধুনিকীকরণের জন্য ২.৩৭ লক্ষ কোটি টাকার এমএসপি দেওয়া হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ২ লক্ষ কোটি টাকা বাড়তি বরাদ্দ করা হয়েছে। চলতি বছরেই চালু হবে অনলাইন পোস্ট অফিস।

 

দশ, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ থেকে ব্লকচেইন এবং অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিজিটাল মুদ্রা চালু হবে।

 

এগারো, মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য মিশন শক্তি, সক্ষম অঙ্গনওয়ারীর মত প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সক্ষম অঙ্গনওয়ারীর আওতায় দুই লক্ষ নতুন মহিলাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

 

বারো, ই-পাসপোর্ট চালু হবে এই বছরেই, তাতে থাকবে ইলেকট্রনিক চিপস। এছাড়া চলতি বছরেই বাজারে আসতে চলেছে 5G পরিষেবা।

    

বিরোধীরা যাই বলুক না কেন, এবারের বাজেট নিয়ে যারপরনাই খুশি আমাদের প্রধানমন্ত্রী। বাজেট পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বেশ প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন, "এই বছরের বাজেট অর্থব্যবস্থাকে চাঙ্গা করে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। এই বাজেটে আগাগোড়া উন্নয়নমুখী ভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে। আধুনিক ভারত গঠনে ২০২২-২৩ এর বাজেট উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করবে।' বিরোধীরা অবশ্য তাঁর এই ভাব ও আদর্শের কথায় ভুলতে রাজি নয়। তাঁরা প্রত্যেকেই এই বাজেটকে একটি 'অন্তঃসারশূন্য' বাজেট বলে সোচ্চার হয়েছেন। বিরোধীদের দাবি এই বাজেট যুবসমাজ, কৃষক, গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষের কথা বিন্দুমাত্র ভাবেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর গলায় অন্য সুর। তিনি বলেছেন, 'এই বাজেটে যুবসমাজের কথা যেমন ভাবা হয়েছে, তেমনই গুরুত্ব পেয়েছে কৃষকেরাও। তাই এই বাজেট হল একটি সম্ভাবনার বাজেট।'

  

'মধ্যবিত্তদের জন্য শুধুই মহাভারতের উদ্ধৃতি'- বাজেট পেশ হওয়ার পর জাতীয় কংগ্রেসের এই মন্তব্য বেশ শোরগোল ফেলেছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর কথায়, "মোদি সরকারের এই বাজেট একটি 'শূন্য যোগ' বা 'zero-sum' বাজেট। কারণ, এই বাজেটে একদিকে দেশের গরিব মানুষ বঞ্চিত হয়েছে, অন্যদিকে যুবক, কৃষক এবং ছোট ও মাঝারি শিল্পগোষ্ঠীদের জন্যও কিছু নেই।

    

অতিমারির করাল গ্রাসে যখন সাধারণ মানুষের মুহূর্তের বেঁচে থাকা রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে তখন অর্থমন্ত্রীর এই 'অমৃত কালের' বাজেট প্রস্তাব অনেক বিদগ্ধ মানুষও শতাব্দীর সেরা রসিকতা বলে মনে করছেন। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশনের উপর জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, এ নিয়ে শিক্ষাজগতের মানুষের কাছেই 'বৈষম্যের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া' নিয়ে একটা বড়সড় ধন্দ দেখা দিয়েছে। অতিমারি আমাদের অর্থনীতির কোমর ভেঙে দিয়েছে, বনিয়াদ দূর্বল করে দিয়েছে। এই দুবছরে আমরা পনের লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ হারিয়েছি, যা আর কোনোদিন ফিরে আসবে না। অর্থনীতির ভাষায় একে বলে 'ডেড ওয়েট লস'। এই অবস্থায় আগে প্রয়োজন ভেঙে পড়া বনিয়াদের মেরামতের ব্যবস্থা করা, বনিয়াদ শক্ত না হলে দীর্ঘমেয়াদি লাভজনক প্রকল্পগুলি সফলভাবে কাঁধে বয়ে নিয়ে যাওয়ার শক্তি আসবে কোথা থেকে? সরকার ঘোষণা করেছে আগামী পাঁচ বছরে ৬০ লক্ষ নতুন চাকরির সংস্থান হবে। এই ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন মহলে জোরদার আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর বছরে ২ কোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি সরকার। কিন্তু বাস্তবে কর্মসংস্থান তার ধারে কাছেও পৌঁছতে পারেনি।

   

স্বভাবতই বিরোধীরা চুপ করে নেই। মোদি সরকারের পুনঃপ্রতিশ্রুতিতে তাঁরা সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। কারও কারও মতে এটা নির্বাচনী স্টান্ট ছাড়া কিছু নয়। ভুললে চলবে না এই বছরেই হতে চলেছে পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আর এখন একটি বাচ্ছাও জানে নির্বাচনের আবহে রাজনীতিকদের মুখনিঃসৃত প্রতিশ্রুতিকে বিশ্বাস--নৈব নৈব চ।

 

লেখক - অর্থনীতির অধ্যাপক                                

..………..xxx…………

Mailing List