সামাজিক ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেওয়া হচ্ছে পদ্মভূষণ পুরষ্কার

সামাজিক ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেওয়া হচ্ছে পদ্মভূষণ পুরষ্কার
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন : পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হবে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। সামাজিক ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য পুরষ্কার দেওয়া হচ্ছে তাঁকে।
প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রের তরফে প্রকাশিত পদ্ম পুরস্কারের তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নাম। সামাজিক ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য বুদ্ধদেবকে পদ্মসম্মানে সম্মানিত করা হচ্ছে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২০১৬ সালের পর থেকে সক্রিয় রাজনীতির ময়দানে আর দেখা যায়নি তাঁকে। বর্তমানে তিনি কার্যত গৃহবন্দি। গত বছরের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শোনা গিয়েছিল তাঁর কণ্ঠস্বর। সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচারিত হয় কণ্ঠস্বর। এখনও বাংলার রাজনীতিতে যথেষ্ঠ প্রাসঙ্গিক এই বর্ষীয়ান এই বামনেতা।
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে এই সম্মান দেওয়ার জন্য কথা ঘোষণা হতেই সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান অনেকেই।
“যোগ্য ব্যক্তিকে সম্মান দেওয়া হয়েছে। ” বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে এই সম্মান দেওয়ার কথা ঘোষণা করার পরেই অভিনন্দন জানান বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
পাশাপাশি মরণোত্তর পদ্মবিভূষণ দেওয়া হবে প্রয়াত সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতকে । গত বছর ভয়াবহ কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর।
এদিকে, বাংলা থেকে পদ্ম সম্মান প্রাপকদের তালিকায় রয়েছেন অভিনেতা ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁকে দেওয়া হচ্ছে পদ্মভূষণ সম্মান। ১৯৯১ সালের লোকসভা ভোটে কলকাতা উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রে বিজেপি-র প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি।
প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে রীতি মেনে মঙ্গলবার পদ্মসম্মান প্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হয়। পদ্মবিভূষণ প্রাপকদের মধ্যে রয়েছেন, প্রয়াত বিজেপি নেতা তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংহ, শিক্ষাবিদ রাধেশ্যাম খেমকা এবং সঙ্গীতশিল্পী প্রভা আত্রে।
এই সঙ্গেই সুন্দর পিচাই এবং মাইক্রোসফ্ট কর্তা সত্য নাদেলা, কংগ্রেস নেতা তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ এবং করোনা টিকা কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারী ‘সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া’-র কর্ণধার সাইরাস পুনেওয়ালা রয়েছেন পদ্মভূষণ প্রাপকদের তালিকায়।
পদ্মশ্রী যারা পাচ্ছেন তাদের তালিকাতে আছেন, প্রহ্লাদ রাই আগরওয়াল(শিল্প ও বাণিজ্য), সঙ্ঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি) , কালীপদ সোরেন (শিক্ষা ও সাহিত্য) এবং কাজি সিংহ (কলা)।
এদিকে ‘পদ্মশ্রী’ ফেরালেন ‘গীতশ্রী’ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়ার জন্য দিল্লি থেকে ফোন করা হলেও তিনি তা নিতে অস্বীকার করেন।



