প্রাণিসম্পদ, মৎস্য ও রেশম চাষের সঙ্গে যুক্ত কৃষকদের জন্যও বিমা প্রকল্প শুরু করতে চলেছে রাজ্য

প্রাণিসম্পদ, মৎস্য ও রেশম চাষের সঙ্গে যুক্ত কৃষকদের জন্যও বিমা প্রকল্প শুরু করতে চলেছে রাজ্য
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: ‘বাংলা শস্য বিমা যোজনা’ ও ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের পর রাজ্য সরকার প্রাণিসম্পদ, মৎস্য ও রেশম চাষের সঙ্গে যুক্ত কৃষকদের জন্য বিমা প্রকল্প শুরু করতে চলেছে। ইতিমধ্যেই এই বিমা চালু করার জন্য সরকারি কৃষি বিমা সংস্থা এআইসিআইয়ে’র কৃশি দফতরের আলোচনা শুরু হয়েছে বলে ওই দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এর ফলে প্রাণিপালন, মাছচাষ ও রেশম চাষের ক্ষেত্রে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হলে কৃষকরা ক্ষতিপূরণের সুযোগ পাবেন।
এআইসিআইয়ে’র প্রধান গিরিজা সুব্রহ্মণ্যম জানিয়েছেন প্রাণীসম্পদ, মৎস্য ও রেশম চাষের ক্ষেত্রে বিমা চালু করার জন্য তাঁরা দেশের বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইআরডিএআইয়ের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন। সম্প্রতি সেই অনুমতি মিলেছে। চলতি অর্থবর্ষেই তাঁরা এই বিমা বাজারে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছেন। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে এই সংস্থার সঙ্গেই এখন আলোচনা চলছে রাজ্যে এই বিমা চালু করার জন্য। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সঙ্গে এই বিমা সংস্থান চুক্তি সম্পাদিত হবে। কৃষকদের হয়ে রাজ্য সরকারই বিমার অর্থ দিয়ে দেবে ঠিক যেমনটি ‘বাংলা শস্য বিমা যোজনা’র ক্ষেত্রে করা হয়। একই সঙ্গে এটাও জানা গিয়েছে যে, দেশের যে সব রাজ্যে নিজেদের মতো করে সেখানকার রাজ্য সরকারগুলি ফসল বিমা প্রকল্প চালু রেখেছে সেখানেই এআইসিআইয় এই বিমা বেশি করে বিক্রি করতে চায়।
উল্লেখ্য, কৃষিক্ষেত্রকে বিমার আওতায় আনার লক্ষ্যে এআইসিআই-কে গড়ে তোলা হয়েছে।সংস্থার মূলধনের অঙ্ক ২০০ কোটি টাকা। তবে নতুন বিমা প্রকল্প আনতে আলাদা করে কোনও মূলধন ঢালার প্রয়োজন নেই বলেই জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে এআইসিআই দেশের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার সিংহভাগ বাজার ধরে রেখেছে। এক্ষেত্রে কৃষককে প্রিমিয়ামের মাত্র ২.৫ শতাংশ দিতে হয়। বাকিটা দেয় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। রবি শস্যের ক্ষেত্রে সেই প্রিমিয়ামের হার আরও কম, ১.৫ শতাংশ। কিন্তু যে রাজ্যগুলি প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমার আওতায় নেই এবং নিজেদের মতো করে ফসল বিমা প্রকল্প চালু রেখেছে, সেখানেও পরিষেবা দিতে চায় এই সংস্থাটি।


