বাংলা ভাষা আন্দোলন ও আমার একুশ, লিখছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি ও নাট্যকার

বাংলা ভাষা আন্দোলন ও আমার একুশ, লিখছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি ও নাট্যকার
21 Feb 2022, 11:30 AM

বাংলা ভাষা আন্দোলন ও আমার একুশ,লিখছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি ও নাট্যকার

ইকবাল রাশেদীন

 

 

ইতিহাস

 

বাহান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন বাংলাভাষার রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাবিতে সংগঠিত গণআন্দোলন। ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটে এবং ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। স্বাধীনতার পরপরই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কী হবে এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং উর্দুভাষী বুদ্ধিজীবীরা বলেন, পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু। অন্যদিকে পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) থেকে দাবি ওঠে, বাংলাকেও অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করতে হবে। কিন্তু পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার বাংলা ভাষার এ দাবিকে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করে। এতে ঢাকার ছাত্র ও বুদ্ধিজীবী মহল ক্ষুব্ধ হন এবং ভাষার ব্যাপারে তাঁরা একটি চূড়ান্ত দাবিনামা প্রস্তুত করেন; দাবিটি হল : পূর্ব পাকিস্তানে শিক্ষা ও সরকারি কার্যাদি পরিচালনার মাধ্যম হবে বাংলা আর কেন্দ্রীয় সরকার পর্যায়ে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে দুটি – বাংলা ও উর্দু।

 

১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ পূর্ব পাকিস্তান সফরে আসেন। তিনি ঢাকার দুটি সভায় বক্তৃতা দেন এবং দুই জায়গাতেই তিনি বাংলা ভাষার দাবিকে উপেক্ষা করে একমাত্র উর্দুকেই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দেন। এ সময় সারা পূর্ব পাকিস্তানেই ভাষা আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল। জিন্নাহর বক্তব্য তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়ে। ১৯৫০ সালের ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়; এর আহ্বায়ক ছিলেন আবদুল মতিন।

 

১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি খাজা নাজিমুদ্দীন করাচি থেকে ঢাকায় আসেন। তিনি পল্টন ময়দানে এক জনসভায় বলেন যে, প্রদেশের সরকারি কাজকর্মে কোন ভাষা ব্যবহৃত হবে তা প্রদেশের জনগণই ঠিক করবে। কিন্তু পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে কেবল উর্দু। সঙ্গে সঙ্গে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় এবং ‘রাষ্টভাষা বাংলা চাই’ শ্লোগানে ছাত্ররা বিক্ষোভ শুরু করেন। ৩০ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘট পালিত হয়। ৩১ জানুয়ারি ততকালীন আওয়ামী লীগের সভাপতি মওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক দলের প্রতিনিধিদের এক সভায় ‘সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয়, যার আহবায়ক ছিলেন কাজী গোলাম মাহবুব। এ সময় সরকার আরবি হরফে বাংলা লেখার প্রস্তাব পেশ করে। এর বিরুদ্ধেও তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ২১ ফেব্রুয়ারি (একুশে ফেব্রুয়ারি) সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে হরতাল, জনসভা ও বিক্ষোভ মিছিল আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়।

 

এসব কর্মসূচির আয়োজন চলার সময় সরকার ঢাকা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে সমাবেশ-শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আবুল হাশিমের (১৯০৫-৭৪) সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভা হয়। ১৪৪ ধারা অমান্য করা হবে কিনা এ প্রশ্নে সভায় দ্বিমত দেখা দেয় তবে ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার সঙ্কল্পে অটুট থাকে।

পরদিন সকাল ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের একাংশে অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় ছাত্রদের সভা হয়। সভা শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকসহ উপাচার্য ১৪৪ ধারা ভঙ্গ না করার জন্য ছাত্রদের অনুরোধ করেন। তবে ছাত্র নেতৃবৃন্দ, বিশেষ করে আবদুল মতিন এবং গাজীউল হক নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকে। ঢাকা শহরের স্কুল-কলেজের হাজার হাজার ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সমবেত হয়। ছাত্ররা পাঁচ-সাতজন করে ছোট ছোট দলে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ শ্লোগান দিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসলে পুলিশ তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করে, ছাত্রীরাও এ আক্রমণ থেকে রেহাই পায়নি। ছাত্রছাত্রীরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছোড়া শুরু করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের সামলাতে ব্যর্থ হয়ে গণপরিষদ ভবনের দিকে অগ্রসররত মিছিলের উপর পুলিশ গুলি চালায়। গুলিতে রফিক উদ্দিন আহমদ, আবদুল জব্বার, আবুল বরকত নিহত হয়। বহু আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং তাঁদের মধ্যে সেক্রেটারিয়েটের পিয়ন আবদুস সালাম মারা যায়। অহিউল্লাহ্ নামে আট/নয় বছরের এক কিশোরও সেদিন নিহত হয়।

 

পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি ছিল গণবিক্ষোভ ও পুলিশি নির্যাতনের দিন। জনতা নিহতদের গায়েবানা জানাজার  নামাজ পড়ে ও শোকমিছিল বের করে। মিছিলের উপর পুলিশ ও মিলিটারি পুনরায় লাঠি, গুলি ও বেয়োনেট চালায়। এতে শফিউর রহমানসহ কয়েকজন শহীদ হন এবং অনেকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার হন। ছাত্ররা যে স্থানে গুলির আঘাতে নিহত হয় সেখানে ২৩ ফেব্রুয়ারি একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। ১৯৬৩ সালে এই অস্থায়ী নির্মাণের জায়গায়ই একটি স্থাপনা নির্মিত হয়।

 

পরবর্তীতে গণপরিষদ বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দিয়ে একটি বিল পাস করে। ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ভাষা আন্দোলন অব্যাহত ছিল। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে অনুমোদনের মাধ্যমে এই আন্দোলন তার লক্ষ্য অর্জন করে। জাতীয় পরিষদে বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের (১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬) এক পর্যায়ে এর সদস্য ফরিদপুরের আদেলউদ্দিন আহমদের (১৯১৩-১৯৮১) দেওয়া সংশোধনী প্রস্তাব অনুযায়ী বাংলা ও উর্দু উভয় ভাষাই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।

 

১৯৫২ সালের পর থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার জন্য বাঙালিদের সেই আত্মত্যাগকে স্মরণ করে দিনটি উদ্যাপন করা হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনকে একটি মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করে।  [সূত্রঃ বশীর আল হেলাল]

এদিন বর্তমানে কীভাবে উদযাপন করা হয়

 

প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারী রাত ১২.০১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি পরপরই প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। কিছুসময় নীরবতা পালন করেও তাঁরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। এরপর রাষ্ট্রীয় প্রটোকল অনুযায়ী শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ হলে সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। উন্মুক্ত করা হলেও শ্রদ্ধা নিবেদনের এই অনুষ্ঠানে নিয়ম মেনে সকলে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। রাজধানীর প্রায় সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন সংগঠন সহ আপামর জনগণ মাঝরাত থেকে জড়ো হতে থাকে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি সাথে করে নিয়ে আসে ফুলের পাশাপাশি সংগঠনের ব্যানার। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা আবালবৃদ্ধবণিতার অনেকের হাতেই থাকে ফুলের সমারোহ। কেউ হয়ত ফুলের বড় তোড়া দিয়ে আবার কেউ হয়তো শুধু একটি ফুল দিয়ে জানায় শহীদদের প্রতি তার সম্মান। সকলের কন্ঠে বা মাইকে বাজতে থাকে 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি' গানটি। কেউ কারো টপকিয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে পারে না। লাইন বাড়তে বাড়তে পলাশী মোড় পেরিয়ে কাঁটাবন অব্দি পৌঁছে যায়। মিনারের কাছে সমবেত মিছিলটি এলে দলের কেউ একজন সংগঠনের নাম এবং প্রয়োজন মোতাবেক সংগঠনের পক্ষে ব্যক্তি বিশেষের নাম ঘোষণা মঞ্চে লিখে দিয়ে আসে। দলটি যখন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে থাকে, তখন মাইকে তাদের সে লেখা বা কখনো শুধু ব্যানারের লেখাটি ঘোষক জানিয়ে দেয়। মুহূর্তের এই সময়টিকে অনেকে ছবি তুলে রাখে। শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় সকলের পা থাকে খালি। সরকারি এবং কোনো কোনো বেসরকারি টিভি ও বেতার সরাসরি অনুষ্ঠানটি মধ্যে দুপুর অব্দি সম্প্রচার করে। এছাড়া দিনব্যাপী সকল প্রচারমাধ্যমে একুশের আলোচনা, গান ইত্যাদি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটিকে স্মরণ করা হয়। দৈনিক পত্রিকাগুলি প্রকাশ করে বিশেষ ক্রোড়পত্র। কবি-লেখকেরা লেখেন ভাষাকে গৌরবান্বিত করে কবিতা, প্রবন্ধ, গল্প। উল্লেখ্য একুশের প্রথম কবিতা 'কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি' রচয়িতা মাহবুবুল আলম চৌধুরী, প্রকাশক কামালউদ্দিন খান। বাহান্নর ২১শে ফেব্রুয়ারি রাতে কবিতাটি চট্টগ্রামে লেখা হয় এবং সে রাতেই চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত হয়। প্রকাশের সার্বিক তত্বাবধান করেন মুজিববাদ, ভাসানী যখন ইউরোপে, প্রসঙ্গ শেখ মুজিব, বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত সহ নানাবিধ বিখ্যাত গ্রন্থের লেখক, ভাষা সৈনিক, সাংবাদিক খন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস। অফিস, সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এদিন আলোচনা অনুষ্ঠান হয়। উল্লেখ্য বাংলাদেশের প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে ভাষা শহীদ মিনার। সকল শহীদ মিনারেই প্রভাতফেরির মাধ্যমে রাত থেকে চলে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয়ভাবে একটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার রয়েছে। সেসব শহীদ মিনারে রাস্ট্রীয়ভাবে সকলের অংশগ্রহণে চলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের মতো সুশৃঙ্খল শ্রদ্ধা নিবেদন৷ একুশের প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা।

 

এদিন দেশের জনগণ সকলে কালো ব্যাজ ধারণ করে। দিনব্যাপী জাতীয় পতাকা থাকে  অর্ধনমিত। এদিন সরকারি ছুটির দিন। 

 

আমার শহীদ দিবস

 

সকলের মতো যখন যে প্রতিষ্ঠানে মূখ্যত কাজ করেছি – পড়াশোনা, চাকরি বা সংগঠন তখন সেই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহণ করে গিয়েছি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে। কখনো মাকে সাথে করে গিয়েছি শ্রদ্ধা জানাতে। এখন স্ত্রী ও সন্তানকে সাথে করে প্রতিবছর শহীদমিনারে যাই। সাথে থাকে একগুচ্ছ ফুল, পরি সাদা বা কালো পাজামা-পাঞ্জাবি, বুকে থাকে কালো ব্যাজ। সেদিন ঢাকায় না থাকা হলে যেখানে থাকি সেখানকার শহীদমিনারে ফুল নিয়ে চলে যাই। দেশে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনার খুঁজে পেতে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও অসুবিধা হয় না। মনে পড়ে ছোটোবেলায় মহল্লায় বন্ধুরা মিলে একুশের রাতে কলাগাছ, বাঁশ, মাটি ইত্যাদি দিয়ে একদিনের জন্য অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করতাম। কৈশোরে এদিনে প্রকাশ করতাম লিটিলম্যাগ 'শহীদ দিবস সংখ্যা।' মনে আছে আশির দশকে 'অধিকার' নামে এরূপ একটি ছোট্ট সংখ্যা প্রকাশের মাধ্যমেই আমার লিটিলম্যাগ সম্পাদনায় হাতেখড়ি হয়েছিল।

 

উপসংহার

বাঙালি তথা বাংলাদেশে একুশের চেতনা একটি বহমান ধারা। এই ধারায় পরবর্তীতে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ যার সুফল স্বাধীন বাংলাদেশ নামে এই দেশ। ফলে একুশ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে এই দেশ, এই দেশের জনগণ। সংস্কৃতির পাশাপাশি এই চেতনা মানে ক্ষুধামুক্ত কল্যাণকামী অসাম্প্রদায়িক একটি দেশ৷ সেটিই এই বাংলাদেশ।

লেখক: বিশিষ্ট কবি ও নাট্যকার, ঢাকা, বাংলাদেশ

Mailing List