শনিবারও জামিন হল না অয়নের, প্রভাবশালীকে দিয়েছিলেন ২৬ কোটি টাকা, দাবি ইডির

শনিবারও জামিন হল না অয়নের, প্রভাবশালীকে দিয়েছিলেন ২৬ কোটি টাকা, দাবি ইডির
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: শনিবারও জামিন হল না নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীলের। শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে ধৃত অয়নকে পেশ করা হয়। এদিন তাঁর আইনজীবী যে কোনও শর্তে অয়নের জামিন চান। কিন্তু সওয়াল জবাব শেষে বিচারক তাঁর জামিন খারিজ করে দিয়ে তাঁকে ফের ১১ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ওইদিনই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তবে এবার জেলে গিয়েই তাঁকে জেরা করতে পারবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা, এমনও অনুমতি দিয়েছে আদালত।
এদিন নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ধৃত অয়ন শীলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনে ইডি। আদালতে ইডির দাবি, এসএসসির বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৪৫ কোটি টাকারও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এছাড়াও একাধিক মিডলম্যানের মাধ্যমে এক প্রভাবশালীর কাছে প্রায় ২৬ কোটি টাকা পাঠিয়েছিল অয়ন। শনিবার আদালতে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেন ইডির আইনজীবী। তিনি আরও জানান, অয়নকে জেরা করেই এই তথ্য উঠে এসেছে। ইডির আইনজীবীর দাবি, অয়নের মোট ৪০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পাওয়া গিয়েছে। তাতে সবমিলিয়ে মোট ৮ কোটি টাকা রয়েছে। এছাড়াও অয়নের নামে আরও ৮টি ফ্ল্যাট, ৫টি গাড়ি, একটি পেট্রোল পাম্প ও একটি ভাড়ার হোটেল রয়েছে।
এসএসসির পাশাপাশি পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির প্রসঙ্গও উঠে এসেছে অয়নের গ্রেফতারির পর। দেখা গিয়েছে, এসএসসির মতো পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রেও প্রায় একই ভাবে ওএমআর শিট জালিয়াতি করে যারা পরীক্ষায় পাশ করত সেই সব যোগ্য প্রার্থীদের পরীক্ষায় ফেল করানো হতো। উল্টোদিকে ফেল করা প্রার্থীদের নম্বরবাড়িয়ে পাশ করিয়ে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়া হত। যাঁরা অয়নের দালালদের টাকা দিত তাঁরা পরীক্ষার পর ফাঁকা ওএমআর শিট জমা দিত। পরে সেখানে অয়নের অফিসের কর্মীরা সঠিক উত্তর বসিয়ে দিত। এভাবেই চলছিল অয়ন শীলের চাকরি বিক্রির কারবার।


