চাঁদ ক্রমশ দূরে সরে যাওয়ায় পৃথিবীর ঘূর্ণন হচ্ছে ধীর, ফলে ২৪ ঘন্টায় আর সম্পূর্ণ হবে না একদিন! জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা
চাঁদ ক্রমশ দূরে সরে যাওয়ায় পৃথিবীর ঘূর্ণন হচ্ছে ধীর, ফলে ২৪ ঘন্টায় আর সম্পূর্ণ হবে না একদিন! জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: এবার হয়তো আর ২৪ ঘণ্টায় এক দিন সম্পূর্ণ হবে না। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে রাতে শুতে যাওয়া পর্যন্ত আপনি কখনও বুঝতে পারেন না যে, দিনের দৈর্ঘ্য ক্রমাগত বাড়ছে। বোঝার কথাও নয়। তবে জেনে রাখুন, পৃথিবীতে দিনের দৈর্ঘ্য একটু একটু করে বেড়েই চলেছে। অর্থাত্ এমনটা ধরা যেতেই পারে যে, দিনের দৈর্ঘ্য ২৪ ঘণ্টার জায়গায় ২৫ ঘণ্টা হতে হয়তো বেশি দিন বাকি নেই।
চাইলে আপনি একবার খেয়াল করে দেখতেই পারেন যে, কতক্ষণ দিন থাকছে। তবে তা ঘড়ি দেখে বোঝা সম্ভব নয়। তবে বিজ্ঞানীরা কিন্তু তাঁদের গবেষণা জারি রেখেছিলেন। আর তার ফলাফল সামনে আসতেই তাঁরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, 'লক্ষ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীতে দিনের দৈর্ঘ্য ছিল ১৩ ঘণ্টারও কম। কিন্তু বর্তমানে তা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। আর এর কারণ হল চাঁদ। ধীরে-ধীরে চাঁদ আমাদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।'
বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন যে, পৃথিবীর গড় দিনের দৈর্ঘ্য প্রতি শতাব্দীতে প্রায় ১.০৯ মিলিসেকেন্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৃথিবীর ইতিহাসের প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন বছর ধরে এটি হয়েছে। সৌরজগতের জন্মের পরে প্রথম ৫০০ মিলিয়ন বছর বা তার পরে চাঁদ তৈরি হয়েছিল বলে মনে করা হয়। গবেষণায় পাওয়া তথ্য প্রমাণ করে যে, চাঁদ অতীতে আজকের তুলনায় পৃথিবীর অনেক কাছাকাছি ছিল। সম্ভবত পৃথিবীতে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় দু'টি সূর্যোদয় এবং দু'টি সূর্যাস্ত ছিল।
কমবেশি সকলেই জানেন, সূর্য ও চাঁদ পৃথিবীকে আকর্ষণ করে। তবে পৃথিবীর উপর সূর্য অপেক্ষা চাঁদের আকর্ষণ বল বেশি হয়। কেননা সূর্যের ভর চাঁদের ভরের চেয়ে কম হলেও, সূর্যের চেয়ে পৃথিবীর অনেক কাছে অবস্থান করে চাঁদ। তাই চাঁদের আকর্ষণেই প্রধানত সমুদ্রের জল ফুলে ওঠে ও জোয়ার হয়। পৃথিবী ও চাঁদের ঘূর্ণনের কারণে চাঁদ পৃথিবী থেকে দূরে সরে গেলে, ফুলে ওঠা জল আবার নেমে যায়। জলের এই নেমে যাওয়াকে ভাটা বলে।
তবে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, চাঁদ ক্রমশ দূরে সরে যাওয়ার ফলে পৃথিবীর ঘূর্ণন ধীর হয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের গবেষণা করা উচিত যে, চাঁদের এভাবে দূরে সরে যাওয়া কোনওভাবে কমানো যায় কি-না। বিশ্ববাসী গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমানোর চেষ্টা করে চলেছে নানা উপায়ে।
