সাপ্তাহিক হেয়ার কেয়ার রুটিনের এই স্টেপগুলো ফলো করছেন তো?

সাপ্তাহিক হেয়ার কেয়ার রুটিনের এই স্টেপগুলো ফলো করছেন তো?
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় আমরা চুলের তুলনায় ত্বকের যত্ন বেশি করি। ত্বক যেমন সৌন্দর্যের একটি অংশ, তেমনি আমাদের চুলও আমাদের সৌন্দর্য বাড়াতে সমান গুরুত্ব বহন করে। এজন্য সপ্তাহে অন্তত একটা দিন তো সেলফ প্যামপার করা যেতেই পারে, তাই না? সাপ্তাহিক হেয়ার কেয়ার রুটিন সম্পর্কে রইল টিপস-
গুরুত্বপূর্ণ স্টেপস
রেগুলার হেয়ার কেয়ারের পাশাপাশি আমরা যখন সাপ্তাহিক হেয়ার কেয়ার নিই, তখন কিছু ধাপ আছে যা আপনাকে অবশ্যই ফলো করতে হবে। সুস্থ, সুন্দর ও ঝলমলে চুল পেতে এই স্টেপগুলো বাদ দিলে চলবে না। চলুন তাহলে দেখে নেই সাপ্তাহিক হেয়ার কেয়ার রুটিনের ধাপগুলো কী কী।
সাপ্তাহিক হেয়ার কেয়ার রুটিনে প্রথমেই যে স্টেপটি ফলো করবেন সেটি হলো হট হেয়ার অয়েল ম্যাসাজ। হট হেয়ার অয়েল ট্রিটমেন্টের উপকারিতা হলো-
চুলকে সিল্কি এবং চুলের গোড়া শক্ত করে। সেই সাথে হেয়ারের গ্রোথ বাড়ায়।
ব্লাড সারকুলেশন স্বাভাবিক করে হেয়ার কিউটিকলের মাধ্যমে ভিটামিন এবং প্রোটিন সরবরাহ করে।
অয়েল গ্ল্যান্ড থেকে অয়েল উৎপন্ন করে চুলকে নারিশড করে। এতে করে চুলকে খুশকি হতে রক্ষা করে। কেমিক্যাল ট্রিটেট চুলে নারিশমেন্ট প্রোভাইড করে।
স্ক্যাল্পকে ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাকমুক্ত রাখে।
নার্ভকে রিলাক্স করে। এতে আপনি আরাম বোধ করবেন।
আপনি চুল শ্যাম্পু করার পরেও এই মাস্ক ব্যবহার করতে পারবেন। এই মাস্ক “হাইড্রেশন মাস্ক” হিসাবেও পরিচিত। কারণ, এটি রুক্ষ চুলের যত্ন নিতে ব্যবহার করলে চুলের ফ্রিজিনেস দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি-
ড্রাইনেস দূর করে চুলকে ঝলমলে ও মসৃণ করে তোলে।
আপনার চুল যদি ইতোমধ্যে কেমিক্যাল ট্রিটেট হয়ে একদম ড্যামেজ হয়ে যায়, তবে ড্যামেজ রিপেয়ারে হেল্প করে।
ডিপ কন্ডিশনের পাশাপাশি আপনার চুলে যদি কালার থাকে তবে কালার ধরে রাখতে সাহায্য করে।
ড্রাই চুল, কার্লি চুল, কেমিক্যাল দেয়া ও রিবন্ডিং চুলের জন্য বেশি ভালো হবে, তবে সব ধরনের চুলেই ব্যবহার করা যাবে।
ন্যূনতম ৫ মিনিট বা আপনার চুলের ড্যামেজ বেশি হলে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট মাস্কটি চুলে রেখে অপেক্ষা করুন।


