অনেক বিপত্তি পেরিয়ে অবশেষে ভয়েজার-২ এর সঙ্গে যোগযোগ স্থাপন নাসার

অনেক বিপত্তি পেরিয়ে অবশেষে ভয়েজার-২ এর সঙ্গে যোগযোগ স্থাপন নাসার
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: ১৯৭৭ সালে মহাকাশে পাঠানো ভয়েজার -২-এর সঙ্গে যোগযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হল নাসা। কিছুদিন আগে এই মহাকাশযানটির সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছিল। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা (নাসা) তরফে জানানো হয়েছে, প্রত্যাশিত সময়ের আগেই ফের যোগাযোগ স্থাপন করা গেছে। নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ক’দিন আগেই ভয়েজার-২-এর মহাকাশযান থেকে পাঠানো সংকেত তাঁরা পেয়েছেন। গত মাসে একটি ভুল সংকেত পাঠানো হয়েছিল মহাকাশযানটিকে। তারপরই নভোযানটির অবস্থান বদলে যায়। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যাবতীয় যোগাযোগ। এখন ভয়েজার-২-এর অভিমুখ আবার পৃথিবীর দিকে ফিরে আসায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে।
বিজ্ঞানীদের তরফে আরও জানানো হয়েছে, তাঁরা ভেবেছিলেন আগামী অক্টোবর মাসের আগে মহাকাশযানটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে না। কিন্তু তার আগেই তাঁরা এই কাজে সফল হয়েছেন। ভয়েজার প্রকল্পের অন্যতম প্রধান সুজান ডড জানিয়েছেন, নাসার বিজ্ঞানীরা ভয়েজার-২- বার্তা পাঠাতে বিশেষ ধরনের শক্তিশালী ট্রান্সমিটার ব্যবহার করেছিলেন। মহাকাশযানটি মহাজাগতিক রশ্মি বৃদ্ধির মুখে পড়েছে। এবং ইন্টারস্টেলার স্পেসে ঢুকতে সক্ষম হয়েছে। যার অর্থ, ইতিমধ্যেই ভয়েজার-২ হেলিওপজ এলাকা অতিক্রম করেছে। ওই এলাকা সৌরঝড়ে তৈরি বুদবুদ বা হেলিওস্ফিয়ার বলে পরিচিত। হেলিওস্ফিয়ার হল সূর্যের চারপাশে ও গ্রহগুলির চারপাশে সুবিশাল বুদবুদ যা সৌর উপাদান ও চৌম্বকক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত। ভয়েজার-১-এর পর এটিই মানুষের তৈরি দ্বিতীয় মহাকাশযান যা ইন্টারস্টেলার স্পেসে ভ্রমণ করছে। এর আগে এই মহাকাশযান বৃহস্পতি (১৯৭৯), শনি (১৯৮১), ইউরেনাস (১৯৮১) ও নেপচুন (১৯৮৯) পরিভ্রমণ করেছে।


