গরু পাচার, কয়লা পাচারের পর বীরভূমে বেআইনি পোস্ত চাষের কারবারও উঠে এলো!

গরু পাচার, কয়লা পাচারের পর বীরভূমে বেআইনি পোস্ত চাষের কারবারও উঠে এলো!
দিব্যেন্দু গোস্বামী, বীরভূম
শুধু গরু বা কয়লা পাচারের অভিযোগ নয়, বীরভূমে রয়েছে বেআইনি পোস্ত চাষের কারবারও! যা নিয়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরের আধিকারিকদেরও বৈঠকও করতে হল। লক্ষ্য একটাই, বেআইনি পোস্ত চাষ বন্ধ করা।
সামনেই ডিসেম্বর এবং তারপর জানুয়ারি মাস। এই সময়ে সাধারণত বেশিরভাগ জমি ফাঁকা পড়ে থাকে। সেই ফাঁকা জমিতেই চাষ করা হয় সর্ষে কিংবা পোস্ত। সরষে চাষ বৈধ হলেও পোস্ত চাষ অবৈধ। তা জেনেও প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে অনেকেই লুকিয়ে পোস্ত চাষ করে থাকে। যেখানে আবগারি দপ্তর পৌঁছাতে পারেনা, সেই সমস্ত অঞ্চলকে বেছে নিয়ে এই পোস্ত চাষ করা হয়। প্রথম দিকে পোস্ত চাষে শিথিলতা থাকলেও পরবর্তীকালে কড়াকড়ি করে আবগারি দপ্তর। পোস্ত চাষ বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন গ্রামে ইতিমধ্যেই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তাদের কাছে বার্তা দেওয়া হয়েছে, পোস্ত চাষের খবর পেলেই তারা যেন পুলিশকে খবর দেয়।
গত বছর খয়রাশোল, কাঁকড়তলা সহ মুরারই প্রভৃতি অঞ্চলে পোস্ত চাষ করা হলেও পুলিশের তৎপরতায় সেই পোস্ত গাছ নষ্ট করে দেওয়া হয়। এ বছরেও পোস্ত চাষ বন্ধে প্রয়োজনে ড্রোন ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। ড্রোনের মাধ্যমে জানা যাবে কোন অঞ্চলে বা কোন গ্রামের মাঠে পোস্ত চাষ করা হচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল। ডিআরডিসি সভাকক্ষে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়, জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। সঙ্গে ছিলেন আবগারি দপ্তরের বিভিন্ন আধিকারিকরা। যদিও এই বৈঠকে প্রশাসনিক ভাবে দাবি করা হয়, আগে যে পরিমাণ পোস্ত চাষ হত সেই পোস্ত চাষ এখন প্রায় বন্ধের মুখে। চাষিদের বুঝিয়েই সাফল্য এসেছে বলে মনে করেন আবগারি দপ্তরের আধিকারিকরা।
জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানান, পুলিশ তো নজর রাখেই, তবে এব্যাপারে গ্রামবাসীদেরও নজর রাখা উচিত। বিশেষত, পঞ্চায়েত সদস্যরা। তাঁরা যদি এই ধরণের ঘটনা দেখেন, তাহলে প্রশাসনকে যে জানান। জেলাশাসক বিধান রায় জানান, এটি একটি রিভিউ মিটিং। প্রতি বছরই হয়। যার প্রধান লক্ষ্য, পোস্ত চাষ একেবারে বন্ধ করে দেওয়া। কারণ, সেটি বেআইনি। অজয় নদীর তীরবর্তী এলাকায় অতীতে সেই চাষ হত। বর্তমানে সেই চাষ পুরোপুরি বন্ধ করার লক্ষ্যেই সবাই বোঝানো ও পদক্ষেপ নিতেই এই ধরণের বৈঠক।


