কলকাতায় বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার সঙ্গে সঙ্গেই তার মিউটেশন হয়ে যাবে, জানালেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম

কলকাতায় বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার সঙ্গে সঙ্গেই তার মিউটেশন হয়ে যাবে, জানালেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম
26 Nov 2022, 09:40 PM

কলকাতায় বাড়ি বা ফ্ল‌্যাট কেনার সঙ্গে সঙ্গেই তার মিউটেশন হয়ে যাবে, জানালেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম

 

আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি এবার কলকাতা পুর এলাকাতেও জমি ও বাড়ির সয়ংক্রিয় রেজিস্ট্রেশন শুরু হচ্ছে। এবার কলকাতায় বাড়ি বা ফ্ল‌্যাট কেনার সঙ্গে সঙ্গেই তার মিউটেশন হয়ে যাবে। এতদিন আলাদা করে পুরসভায় গিয়ে আবেদন জানাতে হত, তাতে হয়রানির শিকার হতেন বাড়ির মালিকরা।সম্প্রতি বিধানসভায় আইন সংশোধন করে সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশনের সময়েই মিউটেশনের পরিষেবা চালুর কথা ঘোষণা করেন পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, অনেকেই পুরকর ফাঁকি দিতে জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রির পর মিউটেশন করায় না। ফেলে রাখে। নতুন বিলের ফলে জমি রেজিস্ট্রি করলে সরাসরি তার মিউটেশন হয়ে যাবে। এটা একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এতে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা আসবে। নাগরিকদের হয়রানি কমবে।একইসঙ্গে ১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে অনলাইনে বাড়ির প্ল‌্যান অনুমোদনের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে বলে পুরমন্ত্রী জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য রাজ্যের বাকি বিভিন্ন পুরসভা ও পঞ্চায়েত এলাকায় এই প্রক্রিয়া আগেই শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ১ কোটি ২৭ লক্ষ জমির এই পদ্ধতিতে মিউটেশন হয়েছে। দেড় লাখ জমির চরিত্র বদল করা হয়েছে।

রাজ্যে বর্তমানে ২৯০টি জমি রেজিস্ট্রেশন অফিস রয়েছে। আর বিএলআরও আছে ৩৪৬টি। বর্তমানে জমির রেজিস্ট্রেশনের সঙ্গে সঙ্গে সেই জমির উপরে একটি নম্বর বিএলআরও দপ্তরের অফিসে চলে যায়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জমির দলিল পাওয়ার পরে খুব কম লোকই আছেন যে সঙ্গে সঙ্গে মিউটেশন করান। ফলে সেই জমি বার বার বিক্রি হলেও তার সঠিক রেকর্ড থাকে না। কারণ, মিউটেশন না হওয়ার ফলে পরচা হয় না। পরচাই জমির আসল পরিচয়পত্র বলে । অনেক জমির পরচা না থাকায় পরিষ্কার বোঝা যায়, সেই জমির মালিক মিউটেশন করাননি। দলিল হয়ে যাওয়ার পর আর কেউ তা নিয়ে মাথা ঘামান না। নতুন পদ্ধতিতে সে অবকাশ নেই।

এখন  জমির রেজিস্ট্রেশনের পর সঙ্গে সঙ্গে মিউটেশনের জন্য ফি জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে। সাতদিনের মধ্যে জমির ক্রেতার কাছে এসএমএস পৌঁছে যাবে। সংশ্লিষ্ট জমি নিয়ে যদি কোনও দাবি ওঠে, সেদিকে তাকিয়েই সাতদিন সময় হাতে রাখবে ভূমি দপ্তর। তারপরেই সার্টিফিকেট তৈরি হয়ে যাবে। বর্তমানে মিউটেশন ফি হবে কৃষিজমি প্রতি ডেসিমেলের জন্য ন্যূনতম ৪০ টাকা। বাণ্যিজিক প্লট প্রতি ডেসিমেলের জন্য ৫০০ টাকা। জমি রেজিস্ট্রেশন থেকে রাজ্য সরকারের আয় অনেকটাই বেড়েছে। গত বছর স্ট্যাম্প ডিউটি রেজিস্ট্রেশন থেকে চার হাজার কোটি টাকার উপর আয় হয়েছে।

Mailing List