জেলা সদরের বুকে আদিবাসী গ্রাম, দুর্গাপূজার থিম ৮ এর পল্লীর

জেলা সদরের বুকে আদিবাসী গ্রাম, দুর্গাপূজার থিম ৮ এর পল্লীর
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন, বারাসাতঃ উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর বারাসাতের বুকে এবার পুরুলিয়ার ডাকুরিয়া গ্রাম উঠে এসেছে। বারাসাত পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষালপাড়া ৮ এর পল্লী সার্বজনীন দুর্গা পুজো কমিটির মণ্ডপসজ্জার ভাবনায় এবারে থাকছে আদিবাসী ঘরানা। কলকাতার পার্শ্ববর্তী শহর বারাসাতের এই পুজো মন্ডপে তাই পাওয়া যাবে ভারতের প্রাচীন জনগোষ্ঠীর লোকেদের, বিভিন্ন আদলে। তবে সেগুলি সবই ফাইবারে মডেল।
মন্ডপের সামনেই থাকছে এমই ৪০টি ৬ ফুট উচ্চতার আদিবাসীদের মডেল। মন্ডপের ভেতরটা, সাজানো হয়েছে মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন লিলার চিত্র দিয়ে। কুলো, ঝুড়ি, মাদুর, ঝালোর সহ বিভিন্ন বাড়িতে ব্যবহার করা সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে মণ্ডপসজ্জায়। প্রবেশদ্বারের দুর্গা প্রতিমাতেও থাকছে আদিবাসী ছোঁয়া। তবে মূল প্রতিমা থাকছে ডাকেরসাজের। সংস্থার সদস্য সৃজিত ঘোষাল ও সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় এর সামগ্রিক ভাবনায় ও গৌতম সমাদ্দারের শৈল্পিক নৈপুণ্যে আদিবাসী কারুকার্য ও তাদের জীবনধারার আদলে তৈরি হচ্ছে মন্ডপ। সঙ্গে থাকছে ভাবনার সঙ্গে মানানসই আলোকসজ্জা। এছাড়াও আলোকসজ্জায় শ্রীকৃষ্ণকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আলোর মূল গেটের বিষয়বস্তু শ্রীকৃষ্ণ। দুবছরের করোনার কারনে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিশুমন। তাই শিশুদের আনন্দদিতে উদ্যোক্তারা তাদের মন্ডপের বাইরের আলোকসজ্জায় বিভিন্ন কার্টুন, জাতকের গল্প সহ বাচ্চাদের ভালোলাগার বিভিন্ন বিষয়কে আলোর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছে।
সংস্থার সম্পাদক গোরাচাঁদ ঘোষাল জানান, এবার তাদের পুজো ৪৭ বছরে পা দিয়েছে। ৫০ ফুট উচ্চতার মন্ডপে থাকছে ১৮ ফুট উচ্চতার দুর্গা প্রতিমা। সম্পাদকের দাবি, তাদের এবারের প্রতিমাই বারাসাতের অন্যান্য সব প্রতিমাকেই হার মানিয়েছে। তাদের ব্যতিক্রমী ভাবনার মন্ডপসজ্জা, শিশুদের জন্য আলোকসজ্জা, ভিন্ন ঘরানার প্রতিমা দর্শনার্থীদের মনোরঞ্জ করবে। কোভিড ও ডেঙ্গুর সব সরকারি নির্দেশিকা মেনেই তারা প্রস্তুত।


