কাটোয়ায় ভাগীরথী থেকে উদ্ধার জ্যান্ত একটি প্রকাণ্ড কুমির

কাটোয়ায় ভাগীরথী থেকে উদ্ধার জ্যান্ত একটি প্রকাণ্ড কুমির
প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান
কয়েক দিন ধরেই ভাগীরথী নদীতে ভেসে থাকতে দেখা যাচ্ছিল একটি কুমিরকে। তা নিয়ে পূর্ব বর্ধমানে কাটোয়ার অগ্রদ্বীপ কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা মহলে চরম আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। শেষমেশ বুধবার দুপুরে বিশাল আকৃতির ওই কুমিরটিকে পাকড়াও করতে সক্ষম হল বনদফতরের কর্মীরা। গ্রামবাসীদের সঙ্গে বনদফতরের কর্মীরা এদিন ভাগীরথীতে অভিযানে নেমে সাত ঘন্টার চেষ্টায় কুমিরটিকে জালে পুরতে সক্ষম হয়। জ্যান্ত কুমির দেখতে ভাগীরথীর তীরে মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। আপাতত কুমিরটিকে রাখা হয়েছে কাটোয়ার বনদপ্তরের অফিসে।
কাটোয়ার অগ্রদ্বীপের কালিকাপুরে রয়েছে ভাগীরথী নদী পারাপারের ফেরিঘাট। এদিন ভোরে ফেরিঘাট চালু করতে আসেন ঘাট কর্তৃপক্ষ অভিজিৎ হালদার। তখনই তিনি দেখেন কুমিরের মত দেখতে লম্বা একটা প্রাণী ঘাটের কাছে শুয়ে আছে। ভয়ে ভয়ে একটু কাছে এগিয়ে গিয়ে তিনি নিশ্চিৎ হন প্রাণীটি সত্যিই প্রায় ১২ফুট লম্বা একটি কুমির। এর পরেই তিনি গ্রামের মানুষজনকে কুমিরের বিষয়ে জানান। খবর যায় বনদপ্তরে।বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ বন দফতরের লোকজন ওই স্থানে পৌছান। এরপর গ্রামবাসী ও বনদফতরের কর্মীরা একযোগে প্রচেষ্টা চালিয়ে কুমিরটিকে বাগে আনতে সক্ষম হয় ।
গ্রামবাসী আঙুর সেখ বলেন, কুমিরের আতঙ্কে আমরা নদীতে নামতে ভয় পাচ্ছি। কুমিরের আতঙ্কে মৎসজীবিরাও ভাগীরথী নদীতে মাছধরা বন্ধ করে দিয়েছে।এখনও ভাগীরথীতে কুমির আছে কিনা কে জানে’। বর্ষায় ভাগীরথী নদীতে জল বাড়তেই কয়েকদিন আগে দেখা মিলেছিলো ঘরিয়াল।এবার ভাগীরথীতে বিশাল আকৃতির কুমিরের দেখা মেলায় আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে ভাগীরথী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের।
জেলার বন আধিকারিক নীশা গোস্বামী জানান, “কাটোয়ার অগ্রদ্বীপে ভাগীরথী নদী থেকে যে প্রানীটিকে ধরা হয়েছে সেটা ঘোরিয়াল নয় ,সেটি কুমির। শারীরিক অবস্থা বোঝার জন্য কুমিরটিকে এখন একটু পর্যবেক্ষনে রাখাহয়ে। পরে ভাগীরথী নদীর কোন এক জায়গায় সহায়ক পরিবেশে খুঁজে কুমিরটিকে ছেড়ে দেওয়া হবে”।


