কৃষি খবর

পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্যতম কৃষি প্রধান কালনা মহকুমার কালনা-১ ব্লকে বাদামী শোষক পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে।

টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরপ্রদেশ।

মাছ হিসেবে তেলাপিয়া এখন খুবই জনপ্রিয়।

শামুকের বানিজ্যিক গুরুত্ব কি? শামুকের খোলস থেকে চুন তৈরি এবং এর মাংসল অংশ মাছ ও হাঁস-মুরগির খাবার হিসেবে ব্যবহার হয়।

বিকল্প হিসাবে ফুলকপি, বাঁধা কপি, টমেটো সহ শীতের সবজির ক্ষেতের ফাঁকে ফাঁকে কালো কচুর লতি কেটে ফেলে দিচ্ছেন তাঁরা।

মাছের ভাসমান খাদ্য প্রয়োগ সম্পর্কে মৎস্য দপ্তরের সরকারী নির্দেশিকা ধরে আলোচনা করা হল।  

কাঁকড়া চাষি শম্ভু মাইতি জানান, গত তিন বছর ধরে কাঁকড়ার ব্যবসা করছেন। তাঁর বর্ণনায়, কাঁকড়া চাষে লাভ অতুলনীয়।

শ্রাবণ মাসের শেষ থেকেই শুরু হয়ে যায় পদ্মফুল তোলার কাজ। এখন ফুলের দাম কিছু কম। তবুও প্রতিদিন সব পুকুরে মিলিয়ে ১৩০০-১৫০০ ফুল নিয়ে যান স্টোরে।

মাছ-সার কথাটি আমরা নতুন শুনছি মনে হতে পারে। কিন্তু এটা কোনও অভিনব পদ্ধতি নয়। বরং ইতিহাস বলে, মাছের সারের ব্যবহার অনেকটাই প্রাচীন।

কিন্তু চাহিদা বৃদ্ধির অনুপাতে চালের উৎপাদন বৃদ্ধির গতি কিছুটা পিছিয়ে আছে। আমরা যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ সেটাকে ধরে রাখতে হবে। প্রতিবছর যাতে চাল আমদানি করতে না হয়।

কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর রাজ্যে ৫৫ লক্ষ মেট্রিক টন ধান সরকার কিনবে।

মন্ত্রী বলেন, কাজু চাষের উপযুক্ত জমি চিহ্নিত করার জন্য তাঁর দফতর দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসককে চিঠি দিচ্ছে।

বিশ্বরূপবাবুর পরিকল্পনায় অযোধ্যা পাহাড়ের পতিত জমির উপর যে এগ্রি-হর্টিকালচারাল ফার্ম শুরু হচ্ছে তার পুরোটাই অর্গানিক ফার্মিং৷

গ্রাফ্টিং, টিস্যু কালচার তথা ফার্মাসিটিউক্যল কোম্পানীর নয়া দিগন্ত উন্মোচনে আফ্রিকার আম বড় ভূমিকা নেবে। যা শুধুই সময়ের অপেক্ষা।

মাটির সৃষ্টি, জলতীর্থ সহ অন্যান্য প্রকল্প খাতে চলতি অর্থবর্ষে জলসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের মোট বরাদ্দের ৯৭.২৭ শতাংশ খরচ নিশ্চিত হয়েছে।

বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে রেশম চাষকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে এদিনের এই প্রশিক্ষণ শিবির।

গত বছর য়েখানে রাজ্যের ৪২ লক্ষ হেক্টর জমিতে আমন ও আউশ চাষ হয়েছিল। এ বার প্রায় ৩৯ লক্ষ হেক্টর জমিতে রোপণ হয়েছে সম্পন্ন হয়েছে।

 ব্যাঙ্ক বা সমবায় সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করতে গেলে বিমা করা বাধ্যতামূলক। আগে ঋণের জন্য যে অর্থ দেওয়া হতো তার মধ্যে বিমার প্রিমিয়ামের টাকা নেওয়া হতো।

মন্ত্রী বলেন, শুধু জরিমানা নয়, সার কারসাজিতে জড়িত ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। লাইসেন্স দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।

বিভিন্ন জেলার কৃষি পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী ইতিমধ্যেই দপ্তরের আধিকারিক সহ ২১৪ টি কৃষি খামারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি উন্নয়ন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জেলার পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে তিনি আগামী তিন তারিখে পূর্ব বর্ধমান জেলা সফরে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদেরকে তদারকি জোরদার ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, এতো বিশাল অংকের ভর্তুকির সার কোনক্রমেই যাতে কৃষক ভাইদের বেশি দামে কিনতে না হয়।

যাদের পুকুর বা ডোবা আছে সেখানে ছেড়ে দিয়ে সামান্য পরিচর্যা করলেই হবে। এর ফলে দেশীয় শিঙি মাছ যেমন আবার পুকুরে ফিরে আসবে তেমনই মৎস্যচাষিরাও লাভবান হবে।

ভোগ্যপণ্যের দাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা স্বীকার করছি, মানুষ কষ্টে রয়েছে। যাদের আয় কম তাদের সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। তবে সরকার মানুষের কষ্ট লাঘবে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। কীভাবে দ্রুত সবকিছুর দাম কমানো যায় সে চেষ্টা সরকারের রয়েছে। তবে বিশ্ব পরিস্থিতি খুব খারাপ। সেজন্য বিশ্বজুড়েই এ অস্থিতিশীলতা।

বর্তমানে তিনি এলাকার মানুষের কাছে কৃষি সম্রাট হিসেবে পরিচিত।

নেই জলের প্রয়োজন। অত্যাধুনিক মেশিনের সাহায্যে কাঁচা পাট থেকেই পাট গাছের ছাল ছাড়ানো যাবে নিমিষেই।

পাট চাষী প্রশান্ত সরকার জানান, তিনি এবছর তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। তবে বৃষ্টির অভাবে জমিতেই পড়ে রয়েছে সমস্ত পাট তাই চিন্তায় মাথায় হাত।

মন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে সারে কোন রকম প্রভাব পড়বে না। কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে না, তবে কৃষিপণ্যের দাম কিছুটা বাড়বে।

গত বছর রাজ্যের ১২ টি জেলায় সাত হাজার কেজি  এগ্রিফাউন্ড ডার্করেড প্রজাতির পেঁয়াজ বীজ বিলি করা হয়। যা থেকে ১২ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়েছে।

বাড়ির ছোট-বড় পুকুর ডোবাতে মৌরলা, পুঁটি প্রভৃতি ছোট মাছ চাষ করে স্বনির্ভর হতে এবং এলাকার জলাভূমি সঠিক সংরক্ষন করে এসব মাছ যাতে হারিয়ে না যায় সেই বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।

আন্তর্জাতিক সংকটের ফলে দেশের মানুষের কিছুটা সাময়িক কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু  দেশে চরম কোন সংকট হবে না, খাদ্য সংকট বা কোন হাহাকার হবে না।

আগামী দিনেও বৃষ্টি ঘাটতি অব্যাহত থাকলে ধান পাটের পাশাপাশি মরশুমি ফল ও শব্জি চাষ নিয়েও সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

চলতি খারিফ মরসুমে শস্য বীমা প্রকল্পে আমন ধান ও ভুট্টা চাষীদের নাম নথিভুক্তিকরণের কাজ চলবে আগষ্ট মাস জুড়েই।

এই প্রসঙ্গে তন্ময় বাবু বলেন, সুন্দরবনের বেশিরভাগ মানুষ চাষবাস করে জীবন ধারণ করে।

‘এআইপি সম্মাননা প্রবর্তন কৃষিখাতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা’ উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, এটি একটি মহৎ উদ্যোগ। কৃষকদের সম্মান জানানোর নতুন উদাহরণ।

ষি দফতর জানিয়েছে, কৃষকদের বিপর্যয়ে রক্ষাকবচ হল বাংলা শস্যবিমা। তাই সরকার সব খরচ দেয়।  

রহিমপুর, খিদিরপুর বড়াইল, মালম, সরাইঘাট সহ আশপাশের বহু গ্রাম থেকে মানুষজন ব্যাঙের বিয়ে উপলক্ষে একত্রিত হন সকাল থেকেই।

কারণ, বৃষ্টি না হলে নয়ানজুলি, পুকুর ভরবে না তো। পরিস্থিতি যে অনুকূল নয়, তা মেনে নিচ্ছে জেলা কৃষি দফতরও।

অজিত মাহাতোর কথায়, আগে শুধু ধান চাষ করতাম। এখন ধান, গম চাষ করতে বালো লাগে না। তিনি এক বিঘে জমিতে ড্রাগন ফ্রুটের চাষ করেছেন।

কৃষি দফতরের দেওয়া তথ্য অনুসারে, এখনও পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে সবথেকে বৃষ্টির ঘাটতি বেশি রয়েছে মুর্শিদাবাদে।

কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, চালের মধ্যে যুক্ত করা হবে আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি ১২ এর মতো উপাদান।

কম জল ব্যবহার করে ধান ও পাট চাষ করার পদ্ধতি সম্পর্কে কৃষি দফতরের সহায়কদের পরামর্শ নিতেও বলা হয়েছে।

চলতি সপ্তাহের শনিবার নবান্নে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী কৃষিজ পণ্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন শিল্প-সংস্থার প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট সমস্ত দফতরের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন।