বাম আমলে বারাসত পুরসভার ৭টি ওয়ার্ড থেকেই ৭১জন সিপিএম নেতা কর্মীর চাকরি হয়েছে, দাবি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের

বাম আমলে বারাসত পুরসভার ৭টি ওয়ার্ড থেকেই ৭১জন সিপিএম নেতা কর্মীর চাকরি হয়েছে, দাবি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের
12 Apr 2023, 11:45 PM

বাম আমলে বারাসত পুরসভার ৭টি ওয়ার্ড থেকেই ৭১জন সিপিএম নেতা কর্মীর চাকরি হয়েছে, দাবি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের

 

আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: ফের তৃণমূল নেতাদের নিশানায় বাম আমলের নিয়োগ দুর্নীতি। বাম আমলে বারাসত পুরসভার ৭টি ওয়ার্ড থেকে ৭১ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর চাকরি হয়েছে। আর এ সব চাকরিই হয়েছে নেতাদের পাঠানো চিরকুটে। বৃহস্পতিবার এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিন তিনি বলেন, বাম আমলে জেলাজুড়ে এইরকম চিরকুটে চাকরির তালিকা তৈরি হচ্ছে। আগামী দিনে তালিকার একটি বইও প্রকাশিত হবে। বাম ছাত্র-যুবদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের উপর হামলা এবং সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের প্রতিবাদে আয়োজিত এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই অভিযোগ করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই সঙ্গে হাতে করে একটি তালিকাও তুলে দেখান মন্ত্রী।

এদিন দুপুরে জেলা পরিষদ দফতরের সামনে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে তৃণমূল যুব কংগ্রেস। সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, সাংসদ সৌগত রায়, বিধানসভার উপ-মুখ্য সচেতক তাপস রায়, বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বীণা মণ্ডল, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ, বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায়, তৃণমূল ছাত্র-যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সভায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বাম জমানায় চিরকুটে চাকরির অভিযোগ তুলে বলেন, বারাসত পুরসভার ৭টি ওয়ার্ডের ৭১ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর চাকরির তালিকা প্রকাশ করা হল। জেলা জুড়ে এই রকম আরও চাকরির তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সবার চিরকুটে চাকরি হয়েছে। আগামী দিনে তালিকার একটি বই প্রকাশিত হবে। এদের মধ্যে অনেকে আবার অবসরপ্রাপ্ত। যদি আমরা এটা নিয়ে আদালতে যাই তাহলে তাঁদের অবসরকালীন টাকাও ফেরত দিতে হবে। প্রায় একই অভিযোগ করেন সাংসদ সৌগত রায় এবং তাপস রায়। সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, চিরকুটে চাকরি পাওয়া ৭১ জনের তালিকা এদিন উপস্থিত দলীয় নেতৃত্বকে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যসচিবকে অনুরোধ করবো এদের বিরুদ্ধে যেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সিপিএম জেলা নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূল সরকারে রয়েছে প্রায় ১২ বছর। এত বছর হয়ে গেল, চুপ করে বসে আছে কেন? হিম্মত থাকলে কোর্টে যাক, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুক।

Mailing List