মালদহে নির্দল থেকে তৃণমূলে যোগদান জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য সহ ৪০০ জন কর্মীর

মালদহে নির্দল থেকে তৃণমূলে যোগদান জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য সহ ৪০০ জন কর্মীর
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন, মালদা: পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের প্রতীক না পেয়ে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ২ নং ব্লকের দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বেজপুরা বুথের নির্দল প্রতীকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন শিবু মহালদার। গত পঞ্চায়েত ভোটে নির্দলে জয়ী হওয়ার পর, পঞ্চায়েত সদস্য শিবু মহালদার ও তার প্রায় ৪০০ জন কর্মী সমর্থক নিয়ে জেলার সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমানের হাত ধরে তৃণমুল কংগ্রেসের যোগদান করেন।
যোগদানের পর শিবু মহলদার জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী হিসাবে আমার নাম আসে। কিন্তু দলের শীর্ষ নেতাদের না জানিয়ে দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমুল কংগ্রেসের সভাপতি লুৎফুর রহমান আমাকে জোড়া ফুলের প্রতীক দেয়নি, দেওয়া হয় পাঁচু দাস নামে এক ব্যক্তিকে। তবে কিসের বিনিময়ে পাঁচুকে প্রতীক দেওয়া হয় তাও আমার জানা নেই। তবে তৃণমুল কংগ্রেসের প্রতীক না পেয়ে নির্দল হয়ে তৃণমুল কংগ্রেসের বিরূদ্ধে লড়াই করে জিতেছি। বর্তমানে তৃণমুল কংগ্রেস ছাড়া এলাকার উন্নয়ন করা সম্ভব নয় তাই আজকে তৃণমুল কংগ্রেসের জেলা ও ব্লক নেতৃত্বের হাত ধরে পুনরায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম।
যদিও শিবুর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেন দাবি করেন দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমুল কংগ্রেসের সভাপতি লুৎফুর রহমান। তিনি আরো জানান, গ্রাম ও ব্লক থেকে পাঁচু দাসের নাম প্রার্থী হিসাবে প্রস্তাব পাঠানো হয়। তবে ভুলবশত পাঁচুর বদলে শিবুর নাম চলে আসে। তাছাড়া ২০২১ সালের বিধাসভা নির্বাচনে শিবু বিজেপি করেছিলো।
এদিকে, যোগদান শিবিরে এসে ব্লক সভাপতি তবারক হোসেন চৌধুরী জানান, ঘরের ছেলে ঘরে এসেছে। শিবু তৃণমূল কংগ্রেস করতো। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভুলবশত অন্য কেউ কাউকে দলের প্রতীক দিয়ে দেওয়া হয়। তবে মমতা ব্যানার্জির উন্নয়নের অনুপ্রেরণায় আবার শিবু মহলদার তৃণমূলে যোগদান করেছে।


