মরক্কোর ভূমিকম্পে একসঙ্গে নিহত ৩২জন খুদে পড়ুয়া!

মরক্কোর ভূমিকম্পে একসঙ্গে নিহত ৩২জন খুদে পড়ুয়া!
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: এক সপ্তাহ কেটে গেছে। তবু মৃত্যুর মিছিলের সংখ্যা এখনও বেড়েই চলেছে মরক্কোর। সংবাদসংস্থা জানাচ্ছে, মারাকাশের একটি স্কুলের একসঙ্গে ৩২জন খুদে পড়ুয়া মরক্কোর ভূমিকম্পে নিহত হয়েছে। এই স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন নাসরিন আল-ফাদেল। তিনি ভূমিকম্পের সময় গ্রামে নয়, শহরে ছিলেন। ভূমিকম্পের উৎসস্থল যেখানে, তার কাছাকাছিই ছিল স্কুল। ভূমিকম্পের খবর প্রকাশিত হতেই তিনি দ্রুত মারাকাশের গ্রাম আদসিলে ছুটে আসেন। এবং দেখতে পান, স্কুলের কোনও চিহ্ন নেই। খোঁজখবর নেওয়ার পর তিনি জানতে পারেন, ছয় থেকে বারো বছর বয়সী তাঁর স্কুলের সব পড়ুয়াই মারা পড়েছে ভূমিকম্পে। স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে নাসরিনের আত্মিক সম্পর্ক ছিল। এক সপ্তাহ আগে মরক্কোর মারাকাশে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত তিনহাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। মারাকাশের দক্ষিণের বেশিরভাগ গ্রামই ধ্বংস হয়ে গেছে। ভূমিকম্পে সবকিছু খোয়ানো মানুষদের কাছে সেভাবে ত্রাণ পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। প্রাণে বেঁচে যাওয়া মানুষরা এখন দিন কাটাচ্ছেন খোলা আকাশের নিচে। আহতদের ঠিকঠাক চিকিৎসা হচ্ছে না। তাফেগাঘাত গ্রামের মোট বাসিন্দা ছিল দুশোজন। এর মধ্যে নব্বই জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন ভূমিকম্পে। জানা গেছে, ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও বহু মানুষের মৃতদেহ আটকে পড়ে রয়েছে। তাঁদের দেহ উদ্ধার করার কোনও প্রচেষ্টাই দেখা যাচ্ছে না প্রশাসনের তরফ থেকে। উপযুক্ত চিকিৎসা মিলছে না আহতদের। হাসপাতালে অসংখ্য মানুষের ভিড় এখনও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা উপযুক্ত পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু পরিকাঠামো বলতে কিছু না থাকায়, তাঁরাও দিশাহারা। সবমিলিয়ে তীব্র সংকটে স্বজনহারা মানুষরা।


