পৃথিবীর ৩ শতাংশ মানুষ বাংলায় কথা বলেন, বাংলা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তবু দীর্ঘ

পৃথিবীর ৩ শতাংশ মানুষ বাংলায় কথা বলেন, বাংলা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তবু দীর্ঘ
21 Feb 2022, 12:00 PM

পৃথিবীর ৩ শতাংশ মানুষ বাংলায় কথা বলেন, বাংলা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তবু দীর্ঘ

 

শুভাশীষ ভট্টাচার্য্য

 

মনের কথা মুখের ভাষা

~ আমরি বাংলা ভাষা

 

১৯৪৭, দ্বিখণ্ডিত ভারতবর্ষের রক্তক্ষরণ। এর মধ্য দিয়ে লাভ হয় বহুকাঙ্খিত স্বাধীনতা। বিভাজিত সেই রাষ্ট্রের বাস্তব রূপ ভারত ও পাকিস্তান। জাতিগত বিভাজন হিন্দু-মুসলমানের বাসযোগ্য দুই ভূখন্ড স্বতন্ত্রভাবে আত্মপ্রকাশ করে। বিদেশি প্রভুদের মনস্কামনা হয়তো পূর্ণ হয়েছিল। কিন্তু বৈচিত্রের অধিকারী অখন্ড ভারত বর্ষে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর একাত্ম হৃদয়ে বিভাজনের তীক্ষ্ণ ফলা যে ক্ষত তৈরি করেছিল তা হয়তো তারা সামলে নিয়ে ছিল। কিন্তু সামলাতে পারেনি স্বাধীনতা পরবর্তী পরিস্থিতি পরিবর্তিত পরবর্তী পরিস্থিতি।

   

পরিবর্তিত পরবর্তী পরিস্থিতি বহুজাতি সমন্বিত দ্বিখণ্ডিত দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছিল বাংলা ও বাঙালি কে। খণ্ডিত বাঙালি জাতি ভারতবর্ষ ও পাকিস্তান দুই দেশেই স্থিত ছিল।  একদিকে পূর্ব পাকিস্তান, অপরদিকে ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ আসাম মানভূম ইত্যাদি অঞ্চল।

 

আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ তথা সমস্ত বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী জনগণের একটি গৌরবোজ্জ্বল দিন একুশে ফেব্রুয়ারি। এটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে ৮ (আটই) ফাল্গুন ১৩৫৮ বৃহস্পতিবার, ইংরেজি ১৯৫২ সালের এই দিনে। বাংলা ভাষাকে পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর পুলিশের গুলিবর্ষণে অনেক তরুণ শহীদ হন। ঐদিন রফিক, জব্বার, শফিউল সহ অনেক তরুণ প্রাণ হারিয়েছিল।

২০১০ সালে ৫ আগস্ট জাতিসংঘ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হবে। কিন্তু এ স্বীকৃতিও সহজে আসেনি। ১৯৯৮ সালে কানাডার ভ্যাঙ্কুভার শহরে দুই বাঙালি রফিকুল ইসলাম এবং আব্দুস সালাম জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনান এর কাছে আবেদন করেছিলেন একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার। ওই সময় সেক্রেটারি জেনারেলের প্রধান তথ্য কর্মচারী হিসাবে কর্মরত হাসান ফেরদৌস। তিনি এটা জানতে পেরে তুই বাঙালিকে পরামর্শ দেন তাঁরা যেন জাতিসংঘের অন্য কোনো সদস্য রাষ্ট্রের কাছ থেকে এই ধরনের প্রস্তাব আনার ব্যবস্থা করেন।

  

রফিকুল ইসলাম আবদুস সালামকে নিয়ে "মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ লাভার্স অফ দ্য ওয়ার্ল্ড" নামে একটি সংগঠন তৈরি করেন। আর এতে সদস্য হিসাবে একজন ইংরেজিভাষী, একজন জার্মানভাষী. একজন ক্যান্টোনিজ ভাষী, একজন কাচ্চি ভাষী ছিলেন। তাঁরা পুনরায় মহাসচিব কফি আন্নানের কাছে "এ গ্রুপ অফ মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ অফ দা ওয়ার্ল্ড"এর পক্ষ থেকে একটি চিঠি লেখেন। এই চিঠির কপি ইউএনওর কানাডীয় দূত ডেভিড ফাওলারের কাছে পাঠিয়ে দেন। এঁরা ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কোর আনা মারিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মারিয়া তাঁদের পরামর্শ দেন পাঁচটি সদস্য দেশ কানাডা, বাংলাদেশ, হাঙ্গেরি, ফিনল্যান্ড ও ভারতের কাছ থেকে প্রস্তাব আনতে হবে। এই প্রস্তাব অনুসারে কাজও হয় এবং ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে প্রস্তাব উত্থাপিত হয় ও ১৮৮ দেশের সমর্থনে প্রস্তাবটি পাশ হয়। একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। ২০০০ সাল থেকে দিনটি জাতিসংঘের সদস্য   দেশগুলিতে পালিত হয়ে আসছে।

    

ভারতবর্ষে বাংলা ভাষা আন্দোলন

 

পূর্ব পাকিস্তান তথা অধুনা বাংলাদেশের তরুণদের আত্ম বলিদান যথার্থ স্বীকৃতি লাভ করল। ইতিহাসের পাতায় স্বর্নাক্ষরে তা চিহ্নিত হয়ে গেল। কিন্তু ভারতবর্ষের অভ্যন্তরস্থ বাংলা ভাষাভাষীদেরও যে ভাষার জন্য বিভিন্ন অঞ্চলে আন্দোলন করতে হয়েছিল সেই ইতিহাস সম্পর্কে এদেশের বাঙালিরা প্রায় বিস্মৃত হতে বসেছেন। এদেশে অর্থাৎ ভারতবর্ষে এই বাংলা ভাষার দাবিতে যে আন্দোলন হয়েছিল তার মধ্যে আসাম ও মানভূম অঞ্চল প্রধান ছিল।

 

   

আসামের বরাক উপত্যকার বাংলা ভাষা আন্দোলন ১৯৬১ সালে ১৯ মে চূড়ান্ত রূপ লাভ করেছিল। ১৯৬০ সালের এপ্রিল মাসে আসামের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি অসমীয়া ভাষাকে আসামের সরকারি কাজের ভাষা হিসাবে ঘোষণা করার আনয়ন করে। যাতে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে। উত্তেজিত অসমীয়া জনতা বাঙ্গালীদের আক্রমণ করে। ওই সালের জুলাই ও সেপ্টেম্বর মাসে হিংসা বৃদ্ধি পেলে প্রায় ৫০,০০০ বাঙালি ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা থেকে পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে যায়। আরো প্রায় ৯ হাজার বাঙালি বরাক উপত্যকা ও উত্তর-পূর্বের অন্যত্র পালিয়ে যায়। এই অবস্থায় বিচারপতি গোপাল মেহরোত্রার নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন গঠিত হয়। এই কমিশনের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়---- কামরূপ জেলার ২৫ টি গ্রামের ৪০১৯টি কুঁড়েঘর, ২৫ টি বাড়ি আক্রমণ করে ধ্বংস করা হয়।

১৯৬০ সালের ১০ অক্টোবর আসামের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিমলা প্রসাদ চালিহা অসমীয়া ভাষাকে একমাত্র সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব আনলে উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক রণীন্দ্রমোহন দাসের তীব্র প্রতিবাদ সত্ত্বেও ২৪ অক্টোবর প্রস্তাবটি বিধানসভায় পাস হয়ে যায়।

   

সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বরাক উপত্যকার বাঙালিরা ১৯৬১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি "কাছাড় গণ সংগ্রাম পরিষদ" গড়ে তোলেন। ১৪ এপ্রিল শিলচর করিমগঞ্জ আর হাইলাকান্দির মানুষরা সংকল্প দিবস পালন করেন। পরিষদ ২৪ এপ্রিল একপক্ষ দীর্ঘ একটি পদযাত্রা করেছিল। ২ মে পদযাত্রার শেষে পরিষদের মুখ্যাধিকারী রথীন্দ্রনাথ সেন ঘোষণা করেন যে যদি ১৩ মে ১৯৬১ এর মধ্যে বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি না দেওয়া হয় তাহলে উনিশে মে তাঁরা ব্যাপক হরতাল করবেন। কিন্তু ১৮ মে আন্দোলনের মুখ্য তিনজন নেতা কে গ্রেপ্তার করেন আসাম পুলিশ। এঁরা হলেন নলিনীকান্ত দাস রথীন্দ্রনাথ সেন ও বিধুভূষণ চৌধুরী।

    

মুখ্য তিন নেতা গ্রেপ্তার হওয়া সত্ত্বেও মানুষ হরতালে শামিল হয়। শিলচরে তাঁরা সত্যাগ্রহ করেন। বিকেল ২.৩০ মিনিটের সময় পুলিশ নজন সত্যাগ্রহী কে একটি ট্রাকে করে তারাপুর স্টেশনের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। আন্দোলনকারীরা তা দেখতে পেয়ে তীব্র প্রতিবাদ করেন। পুলিশ ভয় পেয়ে ট্রাকটি নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু কোন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঠিক এর পরেই প্যারামিলিটারি বাহিনী আন্দোলনকারীদের বন্দুক ও লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করে। মাত্র সাত মিনিটের ভেতর ১৭ রাউন্ড গুলি চালায়। ১২ জন আন্দোলনকারীর গায়ে গুলি লাগে এবং তার মধ্যে সেই দিন নয় জন ও পরে আরো দুজন মারা যান। সেদিন ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন ১)কানাইলাল নিয়োগী ২)চণ্ডীচরণ সূত্রধর ৩)হিতেশবিশ্বাস ৪)সত্যেন্দ্র কুমার দেব ৫)কুমুদ রঞ্জন দাস ৬) সুনীল সরকার ৭)তরনী দেবনাথ ৮)শচীন্দ্র চন্দ্র পাল ৯)বিরেন্দ্র সূত্রধর ১০)সুকোমল পুরকায়স্থ এবং ভাষা আন্দোলনে একমাত্র মহিলা ১১)কমলা ভট্টাচার্য।

বরাক উপত্যকার পাশাপাশি ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় বাংলা ভাষার জন্য শহীদ হয়েছিলেন বিজন চক্রবর্তী, ডাক্তার মনীষী দাস এবং ১৯৮৫ সালে কৃষ্ণকান্ত বিশ্বাস। এখানেই শেষ নয় 1986 সালে ভাষা বিতর্কে জড়িয়ে মৃত্যুবরণ করেন জগন্ময় দেব ও দিব্যেন্দু দাস। এ বলিদান বিফল হয়নি। অসম সরকার বরাক উপত্যকায় বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা দিতে বাধ্য হয়েছিল। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তথা ভারতবর্ষের বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলে এই গণবলিদানের বিশেষ চর্চা না থাকলেও আজও বরাক উপত্যকা ও সন্নিহিত অঞ্চলে ১৯ মে কে বাংলা ভাষা শহীদ দিবস হিসাবে পালন করা হয়।

(শুন বিহারী ভাই

 তোরা রাখতে লারবি ডাঙ দেখাই

তোরা আপন তরে ভেদ বাড়ালি

 বাংলা ভাষায় দিলি ছাই।)

      মানভূমের ভাষা আন্দোলন

   কিন্তু বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলন এখানেই সমাপ্তি লাভ করেনি। বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলা ১৯৫৬ সালের আগে বিহারের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এখানে বাংলা ভাষাভাষী মানুষেরা ১৯১২ সালে ভাষা আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। যা তীব্রতর আকার ধারণ করে ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৬ সালের মধ্যে। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর জাতীয় কংগ্রেসের ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য পুনর্গঠন এর দাবি আঞ্চলিকতাকে ইন্ধন জোগাতে থাকে। সেই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু দেশের স্থায়িত্বও নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ভাষাভিত্তিক প্রদেশ কমিশন বা দার কমিশন নিয়োগ করেন।

   

এই কমিশন ১৯৪৮ সালে রিপোর্ট দেয় যে, স্বাধীনতার সাথে সাথে জাতীয় কংগ্রেস তার অঙ্গীকার থেকে অব্যাহতি পেয়েছে। এবং শুধুমাত্র ভাষাভিত্তিক প্রদেশ গঠন না করে ভারতের ঐক্যবদ্ধতাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এই মত পর্যালোচনা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল ও পট্টভি সীতা রামায়াইয়াকে নিয়ে একটি তিন সদস্যের কমিটি নিয়োগ করেন। 1948 সালে বিহার সরকার ওই রাজ্যের মানুষদের উপর হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। প্রাথমিক স্তরে ও সরকারি অনুদান যুক্ত বিদ্যালয়ে হিন্দি পড়ানোর নির্দেশ আসে। জেলা স্কুল গুলোতে বাংলা বিভাগ বন্ধ করে দিয়ে হিন্দিকে বিহারের আনুষ্ঠানিক ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

      

যদিও সেই সময় জাতীয় কংগ্রেসের মাধ্যমে বাংলাভাষী জনগণ হিন্দি ভাষার বিরুদ্ধে আন্দোলন করার চেষ্টা করে, কিন্তু বাংলা ভাষার দাবি না প্রতিষ্ঠিত হওয়াতে পুরুলিয়া কোর্টের আইনজীবী রজনীকান্ত সরকার, শরৎ চন্দ্র সেন, গুণেন্দ্রনাথ রায় জাতীয় কংগ্রেস ত্যাগ করে জাতীয়তাবাদী আঞ্চলিক দল "লোক সেবক সংঘ" গড়ে তোলেন। লোক সেবক সংঘ ১৯৪৯ থেকে ১৯৫১ পর্যন্ত সত্যাগ্রহ আন্দোলন করেন। ১৯৫৪ সালের ৯ জানুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টুসু সত্যাগ্রহ আন্দোলন করেন।

    এই আন্দোলনের ফলে ১৯৫৬ সালের ১৭ আগস্ট "বাংলা বিহার সীমান্ত নির্দেশ বিল" লোকসভায় পাস হয় এবং ২৮ আগস্ট রাজ্যসভায় পাস হয়। ওই সালের পয়লা নভেম্বর ২৪০৭ বর্গমাইল এলাকায় ১১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৯৭ জন মানুষকে নিয়ে গড়ে ওঠে বাংলাভাষী জেলা পুরুলিয়া। হিন্দি ভাষা মুক্ত হয়ে পশ্চিমবঙ্গে যুক্ত হয়।

 

     অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষা তার স্থায়িত্ব লাভ করেছে। পৃথিবীতে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩ শতাংশ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলেন। আর প্রায় ৩০ কোটির কাছাকাছি মানুষের মাতৃভাষা হিসেবে বাংলা ভাষা ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু এখানেই প্রিয় ভাষার বিস্তৃতি শেষ হয়ে যায়নি। আধুনিক বিশ্বের বহু দেশ বাঙালির বাহুল্যে এবং এই সুমধুর ভাষার লালিত্যে মুগ্ধ হয়ে বাংলা ভাষা চর্চায় উৎসাহী হয়েছে। নেপাল, মালয়েশিয়া, কোরিয়া, চীন, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র. অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান প্রভৃতি দেশে নিরন্তর বাংলা ভাষার বিস্তার ও চর্চা প্রসারিত হচ্ছে। দিকে দিকে বাংলা ভাষার জয় ঘোষ একটু হলেও মনে শান্তি এনে দিচ্ছে। মাতৃভাষার গৌরবকে বৃদ্ধি করছে। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এই ভাষাকে রক্ষা করার যে দায়িত্ব পূর্বসূরীদের আত্ম বলিদানে শুরু হয়েছিল, উত্তরসূরির দায়িত্ব পালনে হাতে হাত রেখে যেন এগিয়ে যেতে পারি—— নব প্রজন্মকে এ অঙ্গীকার করতেই হবে।

লেখক, শিক্ষক, বাংলা বিভাগ, সুকুমার সেনগুপ্ত মহাবিদ্যালয়, কেশপুর

Mailing List