পরপর ২ দিনে তিনটি, কুনোয় চিতার মৃত্যু চলছেই

পরপর ২ দিনে তিনটি, কুনোয় চিতার মৃত্যু চলছেই
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: যত দিন যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী মোদির ভারতে চিতা ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা ধাক্কা খাচ্ছে। মধ্যপ্রদেশের কুনো অভয়ারণ্যে একের পর এক চিতার মৃত্যু হচ্ছে। এবারপরপর দু’দিনে আরও তিনটি চিতা শাবকের মৃত্যু হল কুনোর জাতীয় উদ্যানে। বুধবারেই মারা গিয়েছিল সদ্যোজাত একটি শাবক। বৃহস্পতিবার জানা গেল, এবার এক সঙ্গে দুটি শাবকের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, শরীরে জলের পরিমাণ কমে যাওয়ার ফলেই মৃত্যু হয়েছে ওই দুই চিতা শাবকের। জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ জানান, গত ২৪ মার্চ আফ্রিকান চিতা জ্বালা চারটি শাবকের জন্ম দিয়েছিল। কিন্তু ৪৮ ঘন্টার মধ্যে চারটির মধ্যে তিনটি শাবকেরই মৃত্যু হল। আর মাত্র একটি জীবিত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার কুনো জাতীয় উদ্যানের (kuno national park) আধিকারিকরা জানান, জন্মের পর থেকেই চিতার শাবকগুলি খুবই দুর্বল ছিল। স্বাভাবিকের তুলনায় ওজন কম ছিল, শরীরে জলের পরিমাণও ছিল খুব কম। অন্য চিতা শাবকদের মতো স্বাভাবিক ছন্দে বেড়েও উঠতে পারেনি তারা। বেশ কয়েকদিন ধরেই পশু চিকিৎসকদের কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছিল তাদের। কিন্তু তাতেও কিছু করা গেল না।
সূত্রের খবর, চতুর্থ শাবকটির অবস্থাও বেশ সংকটজনক। তাকে স্থানীয় পশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃত ২ চিতা শাবকের দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে শুধু শাবকই নয়, এ দেশের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিনটি পূর্ণবয়স্ক চিতারও। চলতি মাসের ৯ তারিখে কুনো জাতীয় উদ্যানে মৃত্যু হয়েছে মহিলা চিতা দক্ষের। ২৭ মার্চ মৃত্যু হয় নামিবিয়া থেকে আনা ৫ বছরের স্ত্রী চিতা শাসার। গত ২৪ এপ্রিল মারা যায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা উদয়। শারীরিক অসুস্থতার জেরেই মৃত্যু হয় চিতাগুলির। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বারবারই বলেছিলেন এভাবে চিতাদের ফিরিয়ে নিয়ে আনার কাজটা খুবই কঠিন। যতদিন যাচ্ছে সেটাই প্রমাণিত হচ্ছে বলেই দাবি করছেন প্রাণী বিশেষজ্ঞরা।


